জীবন যখন ফিনিক্স পাখি
জীবন যখন ফিনিক্স পাখি
এমন সর্বগ্রাসী সম্ভাবনার কথা বহুপূর্বেই বারেবারে উঠে এসেছিলো গবেষণায়৷ কিন্তু হায় রে অদৃষ্ট! আটকানো গেলো না সেই মর্মান্তিক পরিণতিটাকে৷ ইতিপূর্বে ঔপনিবেশিক ক্ষমতা দখলের বিভীষিকা প্রত্যক্ষ করেছিলো পৃথিবীবাসী৷ তারপর কিছু বছর বিচ্ছিন্ন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলেও বিশ্বব্যপী যুদ্ধের অভিশাপ নেমে আসেনি৷কিন্তু সেই শান্তি দীর্ঘস্হায়ী হল না! কয়েক বছরের মধ্যে নেমে এসছিলো জাতিধর্মের বিভাজনের বিষ'কে কেন্দ্র করে ভয়ঙ্কর এক যুদ্ধ! মানবিক বোধ আর নৈতিকতার সমস্ত চেতনাই বুঝি অবলুপ্ত হল! আণবিক মারণাস্ত্রের সাথে যুক্ত হল জীবাণুযুদ্ধের নারকীয়তা! তেজস্ত্রিয়তার ভয়াবহ প্রভাবের সাথী হল কৃত্রিমভাবে পরিমার্জিত মারণরোগের বীজ! সর্বগ্রাসী মহামারীর আকার নিয়ে গিলতে লাগলো বড় বড় জনপদকে! বীভৎসতা এমন রূপ নিলো যে, বেশ কয়েকটি দেশ চিরকালীন শ্
মশানে রূপান্তরিত হল৷ শত্রু দেশকে আক্রমণ করতে গিয়ে সংক্রমণ ছড়ালো আক্রমণকারী দেশটির অন্দরেও! সেই যুদ্ধ যখন থামলো, তখন পৃথিবীর বড় অংশ একেবারে শ্মশান হয়ে গেছে!
ইতিমধ্যে বেঁচে থাকার ন্যূনতম উপাদান অর্থাৎ জল, বিশুদ্ধ বাতাস দুর্মূল্য হয়ে উঠেছে!তাই এবারে বেঁচে থাকার তাগিদেই নতুন করে লাগলো সেই অন্তিম যুদ্ধ৷ শেষে এমন নারকীয় পরিস্হিতি হল যে যুদ্ধ দেশে দেশেই আর সীমাবদ্ধ রইলো না—ক্রমেই তার পরিসর ক্ষুদ্রতর হতে লাগলো৷ আত্মীয়তা ভুলিয়ে দেওয়া সেই নারকীয় যুদ্ধই প্রাণের শেষ চিহ্নটাও মুছে দিলো!
বাকীটা নিঃস্ব ইতিহাস, যা পড়বার মত আর কেউ ছিলো না৷ কিন্তু হঠাৎই এক মহাজাগতিক অগ্নিপিন্ড আছড়ে পড়লো সেই ঊষর পৃথিবীর বুকে— এক ভাবীকালের সম্ভাবনা সাথে নিয়ে!