ইচ্ছেশক্তি
ইচ্ছেশক্তি


---" অনিলিখা দি আসছে শুনেছিস!"
খবরের কাগজটা সশব্দে টেবিলে ফেলে উচ্ছ্বসিত গলায় বললো অর্চিসা।
--" কে অনিলিখা? দ্য গ্রেট সায়েন্টিস্ট অনিলিখা দির কথা বলছিস না নিশ্চয়! উনি তো শুনেছিলাম টরোন্টোতে..... জলবায়ুর ওপর কিসব সেমিনারে যোগ দিতে গেছেন। " আশ্চর্য হয়ে বললাম আমি।
---" তুই এত মাথামোটা কেন রিমি! কোনো খবরই কি রাখিস না! করোনাভাইরাসের ব্যাপকতার কারণে সেমিনার ক্যানসেল হয়েছে এটুকুও জানিস না তুই! "
--" অত খবর জানিনা রে! নিজের জ্বালায় ফেঁসে রয়েছি, অতকিছু ভাবার মতো সত্যিই সময় নেই। তা উনি আসছেন কবে!"
--" এত নিঃস্পৃহভাবে কিকরে বলছিস কথাগুলো? অনিলিখা দি যে তোকে কত ভালোবাসে জানা নেই তোর! অতদূর থেকে উনি কেন আসছেন জানিস! শুধুমাত্র তোর সমস্যাগুলোর কথা ফোনে জানিয়েছিলাম ওনাকে তাই। আর তোর রিয়াকশন দ্যাখ......! " গজগজ করতে করতে কিচেনের দিকে এগোলো অর্চিসা।
---" আমার সমস্যা...! মানে! তুই ওনাকে সব বলে দিয়েছিস! কেন!" প্রায় চেঁচিয়ে উঠলাম আমি। গ্যাসের নবটা জ্বালতে গিয়েও থমকে গিয়ে আমার দিকে স্থিরদৃষ্টিতে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলো অর্চিসা।
--" মানেটা কি তোর! সব বলবোনা তো কি করব! তোর সমস্যাটা সত্যিই মেজর, যেটা সলভ হওয়াটা বড্ড দরকার। এভাবে তো চলতে পারেনা বেশিদিন! বাঁচতে হবে তো তোকে!"
---" তার জন্য তো তুই আছিস! তুই পারবিনা সলভ করতে! "
--" নাহ পারবোনা। পারলে এই কদিন এত কষ্ট পেতে দিতাম না তোকে। কোথাও এসে আমার ক্ষমতারা থমকে যায় রে রিমি। তখন অনিলিখা দির মতো এক্সপার্টরাই পারেন সাহায্য করতে। দেখবি একদম ঠিক হয়ে যাবি তুই, আবার হাসবি আগের মতো। " নিজের স্বর্গীয় হাসিটা আকর্ণবিস্তৃত করে খুশি খুশি গলায় বললো অর্চিসা।
ধপ করে বসে পড়লাম সোফায়। বিকেলের মরা রোদ জানলার ফাঁক গলে শেষ আলপনা দিচ্ছে ঘরের মেঝেতে। ব্যালকনিতে রাখা টবগুলোয় গতরাতেই ফুটেছে হাসনুহানা, এখনো তাতে ম ম মাদক গন্ধ। দুই কামরার এই ফ্ল্যাটখানা বড্ড খোলামেলা, বাগান না থাকলেও টবে লাগানো সবুজের খামতি নেই ঘরে। কিন্তু এ সবকিছুই আজকাল বড়ই অসহ্য লাগছে আমার। কিচ্ছু ভালো লাগছে না, কিচ্ছু না!
অর্চিসার সঙ্গে শেষ কেসটা সলভ করে ফেরার পরের থেকেই এই অবস্থা। প্রথমে ক্লান্তি - ক্ষুধামন্দ, সেখান থেকে ধীরে ধীরে নিদ্রাহীনতা গ্রাস করেছে আমায়। সারারাত কেটে যায় সিলিং এর দিকে চোখ রেখে। সেইসঙ্গে ধীরে ধীরে গ্রাস করছে প্রবল মৃত্যুভয় ও অজানা আতঙ্ক। কোনোমতেই স্থির হয়ে বসতে পারছি না আমি। মুখে কেমন যেন তেতো স্বাদ! সবমিলিয়ে দিনের পর দিন অবস্থা বড়োই খারাপের দিকে চলেছে৷
চেষ্টা কিছু কম করেনি অর্চিসা। ডাক্তার - কবিরাজ - সাইকিয়াট্রিস্ট সব চিকিৎসাই যখন সিন্ধুতে বিন্দুমাত্র হয়ে নতিস্বীকার করলো অর্চিসা শুরু করলো তার নিজের সিদ্ধান্তমতে অনুসন্ধান। এলাকার কোনো পুরোহিত - ইমাম - পাদ্রী বাদ দেয়নি সে, এমনকি আমায় নিয়ে ছুটে গেছে আমাদের অগতির গতি অঘোরীবাবার কাছেও। উনিই প্রথম ধরেছিলেন বিষয়টা, আত্মা প্রবেশ করেছে অন্দরে! গত কেসে নিজ দেহবন্ধন না করার সাময়িক ভূলের খেসারত যে এভাবে আমায় দিতে হবে সত্যিই ভাবতে পারিনি। সেদিনই স্থানান্তরে গমন করায় কিছু করে উঠতে পারলেন না অঘোরীবাবা, শুধু অর্চিসার মাথায় হাত রেখে স্মিতহাস্যে বললেন,
--" ঘাবড়াস না বেটা। এ মেয়ের ক্ষতি করার সাধ্য কারো নেই, সাময়িক বিপর্যস্ত করবে মাত্র। ভুল করেছিস, ভুলের মাশুল তো সাময়িক গুনতেই হবে তাইনা! তবে চিন্তা করিসনা, এমন কেউ আসবে ঠিকই! যে তোকে উদ্ধার করবে বিপদ থেকে। শুধু সাহসটা হারাসনা কখনো। মনে রাখিস তুই মানুষ, আর মানুষের অজেয় কিচ্ছু নেই এই ভবসংসারে। খেয়াল রাখ বন্ধুর, শীঘ্রই সব ঠিক হয়ে যাবে৷ জয় শিবশম্ভো! "
অঘোরীবাবা তো প্রস্থান করলেন ঠিকই, কিন্তু আমি পড়লাম আতান্তরে। দিনে দিনে একটু একটু করে শেষ হয়ে আসছে লড়াই করার শক্তি, দুষ্ট আত্মা আমার ওপর ভারী হয়ে চেপে বসতে না পারার আক্রোশে শুষে নিচ্ছে যাবতীয় বল। এভাবে চলতে থাকলে যে বেশিদিন আমার পক্ষে লড়াই করা সম্ভব নয় তা বুঝেছি আগেই৷ তাই একটু একটু করে নিজেকে তৈরী করছিলাম মৃত্যুর জন্য। এমনসময় অনিলিখা দির আগমনবার্তায় খুশি হবো নাকি দুঃখপ্রকাশ করবো সেটাই ভাবতে পারছিলাম না। আসলে দেহে মনে প্রায় দুগুণ ওজন বহন করা ব্যক্তি কিই বা করতে পারে! মৃত্যুর আতঙ্ক যে ধীরে ধীরে চিন্তাশক্তিকে ভোঁতা করে দিচ্ছে আমার!
ঝর্ণার জলের শব্দ করে যখন কলিংবেলটা বেজে উঠলো এবং অর্চিসা ধুপধাপ শব্দে দরজা খুলতে ছুটলো, তখনো সোফায় ঠায় বসে আছি আমি। কিছুতেই উঠে যেতে ইচ্ছে করছেনা, না ইচ্ছে করছে কোনো কাজকর্ম করতে। উদাসীনভাবে জানলা দিয়ে সন্ধ্যাকাশের দিকে কতক্ষণ চেয়ে আছি জানিনা, পিঠে হাতের আলতো চাপ পড়তেই চমকে উঠে চাইলাম। কখন যে অনিলিখা দি হাসিমুখে পেছনে এসে দাঁড়িয়েছেন জানিনা। তাঁর স্টাইলিশ ড্রেসআপ, ঘন কোঁকড়ানো বাদামি চুল আর সিগনেচার হাসিটা কেমন যেন বসন্ত বাতাস বইয়ে দিলো ঘরের ভেতর ; মুহূর্তেই! কতদিন! ঠিক কতদিন পরে হাসিমুখে চেঁচিয়ে উঠলাম আমি,
--" দি! তুমি এসে গেছো!"
---" একদম রে আমার গেছোবুড়ি! তোর অসুস্থতার খবর পেয়েও আমি আসব না, এটা কি হতে পারে! দেখ তো মুখচোখের কি হাল করেছিস! কি হয়েছে তোর! " চোখ থেকে চশমা খুলে সেন্টার টেবিলে রেখে সোফায় হেলান দিয়ে বসে বললেন অনিলিখা দি।
--" দি, তোমায় তো আমি বলেইছি ওর ব্যাপারটা! এরপর ও আর কি বলবে!" তড়িঘড়ি বলে উঠলো অর্চিসা।
--" তুই থাম অর্চি! আমায় ওর মুখ থেকেই শুনতে দে। ওর এমনকিছু হয়নি যে নিজেমুখে বলতে পারবে না। অ্যাই তুই বল, আর অর্চি কফি বানাবি যা এখুনি। " হুকুমের সুরে ধমকে উঠলো অনিলিখা দি।
--" দি! আমার......আমার বড্ড ভয় করছে! মৃত্যুভয়.......ঘুম নেই - খাওয়া নেই..... আমি যে মরে যাবো দি!" ডুকরে উঠলাম আমি, বহুদিন পরে জল নামলো চোখের কোনা বেয়ে।
---" তোর সমস্যাটা কি জানিস রিমি! তুই একটা বিষয় নিয়ে বড্ড বেশিই ভাবিস। একটা কথা মাথায় রাখ, দুনিয়ার কোনো অপশক্তির সাধ্য নেই মানুষের ইচ্ছেশক্তিকে প্রতিহত করার। তুই কোনো ভুল করিসনি এটা তো তুই জানিস! পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভূত কি বলতো! নিজের বিবেক। নিজের বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থাকা ব্যক্তিকে কেউ মারতে পারেনা। অত সহজ নয় সবকিছু!" সিগারেট ধরিয়ে তাতে লম্বা টান দিয়ে বললো অনিলিখা দি।
--" দি আমি বাঁচতে চাই....বিশ্বাস করো কখনো কারো ক্ষতি চাইনি....পারলে উপকার করেছি সবার। আমার সঙ্গেই কেন এমন হলো! আমি যে আর পারছি না! " হু হু কান্নায় ভেঙে পড়লাম আমি। পাশে হাতে কফির কাপ হাতে স্থির দাঁড়িয়ে অর্চিসা। বহুদিন আমায় কাঁদতে দেখেনি সে। আজ সত্যিই সে চমৎকৃত ও সেইসঙ্গে নিদারুণ আতঙ্কিত!
--" ওকে কাঁদতে দে অর্চি। বহুদিন কাঁদেনি তো! বুকটা ভার হয়ে গেছে বেচারার। আর চোখের জলের পবিত্রতা সম্পর্কে জানা আছে তোর! বড্ড অজেয় জানিস৷ স্বয়ং ঈশ্বর বশ হন চোখের জলে, কোনো দুষ্ট আত্মা ওর কি বিগড়াবে রে! যতসব ননসেন্সের মত ভয় পাস। " সোফায় গা এলিয়ে বসে মাথা নাড়তে নাড়তে বিজ্ঞের মত বললো সে।
--" দি আমায় আবার আগের মত করে দাও প্লিজ! আমি লিখতে চাই..... নিজের মতো ভালো থাকতে চাই.....পরিবার - বন্ধুবান্ধবকে সময় দিতে চাই। এভাবে অকালে একটা অপরিচিত নামানুষের হাতে বেঘোরে প্রাণ দিতে চাইনা আমি..... কিছুতেই চাইনা!" চোখ মুছে অনিলিখা দির দিকে তাকিয়ে মন্তব্য করলাম আমি।
--" আরে ধূর! তোকে হজম করবে কার সাধ্যি! তুই জানিস প্রতিটি জীবিত নারীতে স্বয়ং দেবী মহামায়ার অধিষ্ঠান! এত সোজা তোকে মারা নাকি! দাঁড়া, আমি এসে গেছি তো! নিজের আত্মশক্তিকে জাগা তো! দেখি কে তোর কি করে!" গর্বিত ভঙ্গিতে গ্রীবা উঁচু করে বললো অনিলিখা দি।
--" আত্মশক্তি! মানে!" হতভম্ব হয়ে জিজ্ঞেস করলাম আমি।
--" এইতো! ভূতের গল্প লেখো, তন্ত্র নিয়ে পড়াশুনা করো এদিকে আত্মশক্তি মানে বোঝোনা। অ্যাই! এইজন্য তোদের এই অবস্থা বুঝলি! অর্ধজ্ঞানী ডেঁপো মেয়েগুলো!" গজগজ করতে করতে বলল সে।
কাঁচুমাচু মুখ করে বসে রইলাম আমি ও অর্চিসা। সত্যিই এতদিন বাইরের সবকিছু নিয়ে পড়াশুনা করেছি বটে, কিন্তু কই! নিজের ভেতর উঁকি দিয়ে তো দেখিনি কি আছে!
--" অ্যাই মেয়ে শোন! চোখ বন্ধ কর, মনকে কেন্দ্রীভূত কর দুই ভ্রুর মাঝখানে। দেখ তো কিছু দেখতে পাস নাকি! " হালকা গলায় বললো অনিলিখা দি।
--" মেডিটেশন তো! রোজ করি আমি। মানসিক স্থিরতা বাড়ে, এটুকুই। " গর্বিতভাবে বললো অর্চিসা।
--" তুই থাম। এখানে মেডিটেশনের কথা নেই। রিমি তুই চোখ বন্ধ কর, কিছু দেখতে পেলে জানাবি। "
চোখ বন্ধ অবস্থায় কিকরে দেখা সম্ভব বুঝতে না পেরে একবার অনিলিখা দি আরেকবার অর্চিসার দিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করলাম। জমাট বাঁধা অন্ধকার আর অনির্বচনীয় আতঙ্কে বুকটা ভার হয়ে আসার মুহূর্তেই দুই ভ্রুর মাঝে আজ্ঞাচক্রে দাউদাউ করে জ্বলে উঠলো আগুন। এ আগুন বিধ্বংসী নয়, কোমল.... যেন এক ভয়হীন অপরূপ আলো ধীরে ধীরে বুক থেকে নিংড়ে নিচ্ছিলো সব ভয়গুলো। আবার নিজেকে যেন ফিরে পাচ্ছিলাম আমি। বুঝতে পারছিলাম, হালকা হচ্ছে শরীর ; আজ্ঞাচক্রে জেগে থাকা আলো শুষে নিচ্ছে সব অন্ধকার, সব ছাপিয়ে ভেসে উঠছে এক স্মিত হাসিমুখ..... ভূত - প্রেত - পিশাচ যার পদানত, যিনি স্বয়ং সৃষ্টি.... পরমা প্রকৃতি.... ভক্তের রক্ষায় সর্বদা উদ্যত তাঁর সুতীক্ষ্ণ ত্রিশূল!
" অজ্ঞানং জ্ঞানদে দেবী নারায়ণী নমহস্তুতে!"
কতক্ষণ পরে চোখ খুলেছি জানিনা। তবে অনুভব করতে পারছি তিলমাত্র কাঁপুনি নেই বুকে। আর একটুও ভয় করছে না আমার। মৃত্যু যেন পরাজিত হয়ে পশ্চাদপসরণ করেছে অমিতজ্যোতির কাছে।
মুচকি হাসছিল অনিলিখা দি। আমি চোখ খুলতেই হেসে বললো,
--" কিরে! ভয় কাটলো? কি দেখলি!"
--" না মানে! আমার কপালের মাঝে আগুন.....না না আগুন না, আশ্চর্য আলো.....কেমন যেন সব ভয় শুষে নিল। হালকা লাগছে আমার.... বড্ড হালকা লাগছে। এ কিকরে সম্ভব!"
আমার পাশে হতভম্ব হয়ে বসে ছিল অর্চিসা৷ আমি থামতেই প্রায় চেঁচিয়ে উঠলো সে,
--" এ তো! কুলকুণ্ডলিনী শক্তি.....কিন্তু এতে তো সাধনা লাগে....রিমি কিকরে! "
হো হো করে হেসে উঠলো অনিলিখা দি,
--" আরে পাগলি! এ সাধন করতে জন্ম কেটে যায় রে! খুব কম মানুষের এ সুযোগ হয়। রিমি আমাদের সত্যিই স্পেশাল! ওর ভেতরের শক্তিকে আজ চিনে নিয়েছে ও। এই শক্তি থাকতে ওর ক্ষতি করার সাধ্য কারো নেই। নিশ্চিন্ত থাক। "
পার্স থেকে কি একটা জিনিস বের করে আমার হাতে দিলো সে, মুঠো খুলে দেখলাম দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ! আমার দিকে তাকিয়ে অনিলিখা দি বললো,
--" এটা ধারণ কর, আর সাথে নিজের আত্মশক্তিকে চিনে রাখ। তুই পরমা প্রকৃতির অংশ, কারো সাধ্য নেই তোর ক্ষতি করার। তবে হ্যাঁ, সাবধান। কুলকুণ্ডলিনী কিন্তু অসীম শক্তি, এর সঙ্গে খেলা করিসনা কখনো। ভালো থাকিস৷ "
সোফা ছেড়ে উঠে দরজার দিকে এগিয়ে গেল অনিলিখা দি, অর্চিসা মুখ কাঁচুমাচু করে বললো,
--" তুমি আজই চলে যাবে দি! একদিন থাকতে তো পারতে! "
--" না রে মেয়ে৷ যে কাজে এসেছিলাম, সে কাজ শেষ। এখন আবার ফিরে যাই, অনেক কাজ আছে রে! অনেককে সাহায্য করতে হবে তো! "
--" কিন্তু দি! তুমি তো একজন সায়েন্টিস্ট। তুমিও এসবে বিশ্বাস করো কিকরে! "
--" বিজ্ঞান আর ঈশ্বরের মধ্যে কিন্তু কোনো রেষারেষি নেই রিমি। বরং বিজ্ঞান বারবার স্বীকার করেছে ঈশ্বরের অস্তিত্ব। দুনিয়াটা কিন্তু পজিটিভ আর নেগেটিভ শক্তির ব্যালেন্সের জন্যই টিকে আছে, মনে রাখিস এটা। আর একটা কথা, মানুষের ইচ্ছেশক্তির চেয়ে বড় কোনো শক্তি নেই; কথাটা ভুলিসনা কখনো। "
হতভম্ব হয়ে বসে রইলাম। অঘোরীবাবা ও অনিলিখা দির কথাগুলো কোথায় যেন এক হয়ে গেল অজান্তেই। ধরণীর ব্যথা শান্ত করে বৃষ্টি নেমেছে আগেই।।
(সমাপ্ত)