হিংসে
হিংসে


আজকাল কোথাও ছেলে মেয়ে, যুবক যুবতী, বুড়ো বুড়ি - এক কথায় যে কোন নর-নারী প্রেম করছে দেখলেই, মাথায় যেন আগুন জ্বলে যায় পিয়ালের!
যবে থেকে তার প্রেমিকা, চামেলি তাকে ছেড়ে ভেগেছে পলাশের সাথে - তবে থেকে এটা শুরু হয়েছে তার। সে নতুন করে আর কারো প্রেমে পড়া তো দূর, কেউ প্রেম করছে দেখলেই নাকি বুক ফেটে যায় তার!
হয়তো পাবলিক প্লেসে ঘনিষ্ট হয়ে প্রেমালাপে মেতেছে কোন জুটি। ব্যস, দেখামাত্রই তাদের পাসে গিয়ে হাজির হয় সে। তারপর, হৈ চৈ করে তাদের লজ্জায়, অস্বস্তিতে ফেলে - এটাই এখন পিয়ালের সবথেকে প্রিয় এন্টারটেনমেন্ট হয়ে উঠেছে।
সেদিন ভর সন্ধ্যে বেলা, অপিস ফেরত ফেয়ারলী ঘাটে লঞ্চ ধরতে দৌড়ানোর সময় হঠাৎ লোডশেডিং হলো। আর তখনই নজরে এলো পিয়ালের - একটা কাপল একবারে গলা ধরে, জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে আছে গঙ্গার ধারে
!
মিলেনিয়াম পার্কের এই দিকটা এখন সবসময়ই পাবলিকের জন্য খোলাই থাকে। তারওপর আজ আবার লোডশেডিং হওয়ায়, সেখানেই সন্ধ্যের অন্ধকারে দাঁড়িয়ে তারা কিনা প্রেম করছে?
পিয়াল তো লঞ্চ ধরা ছেড়ে তখনই দৌড়ালো সেদিকে - তাদের সবক শেখাতে। তাদের কাছে গিয়ে আওয়াজ দিলো - কি, লজ্জা সম্ভ্রম সব.... তার মুখের কথা শেষ হয় না, তারা ওর দিকে ঘোরে।
পিয়াল দেখে - দুটো কঙ্কাল মূর্তি দাঁড়িয়ে! তারা বললো - ঠিঁক আঁচে, চঁলে যাঁচ্ছি। এঁকটু প্রেঁম কঁরাঁর জাঁয়ঁগাঁও রঁইঁলোঁ না গোঁ কঁলকাঁতাঁয়? বলে হাওয়ায় ভেসে যেন তার দিকেই এগিয়ে আসলো তারা!
পিয়াল তো ভয়ে, বাবারে - করে চিৎকার করে, রেলিং টপকে ঝাঁপ দেয় গঙ্গার জলে! সেদিন ঐ গঙ্গা নাইয়ে তার চেতনা হলো - আর কখনও কোনো প্রেমিক প্রেমিকাদের পিছনে লাগেনি সে!