STORYMIRROR

Manab Mondal

Abstract Romance Inspirational

4  

Manab Mondal

Abstract Romance Inspirational

হাসনাহেনা

হাসনাহেনা

4 mins
339

ও যেনো হাসনাহেনা , চেষ্টা করলেও ওকে এড়িয়ে যাওয়া যায়না। কি ফর্সা, মসৃন ওর শরীর। অতো কাছে থেকে ওর রূপ দেখে ওকে স্পর্শ করতে মন চাইছিল। কিছুটা মোহিত হয়ে গেছিলাম। কিন্তু ওর কথা ঝাঁকুনি তে সম্মোহনটা কেটে গেলো। ওর বেরায়ের হুক খুলে দিয়ে বই পড়ায় মন দেওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু ও জেনো ইচ্ছে করেই এ ঘরে পোশাক বদল করলো। আর অনেকটা বেশি সময় নিয়ে। ও ইচ্ছে করেই করছিলো। কারণ আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম ও হাসছে।

তবুও ভুল আমার ওকে ঐ নজরে দেখা আমার অনুচিত। কিন্তু সত্যি কি তাই। ওতো আমার নিজের বোন না। ছোট্ট বেলায় থেকে ও আমাকে দাদা বলতে গেলে আমি ধমক দিতাম বলতাম আমাকে দাদা বলবি না। আসলে ওকে আমি বোন হিসেবে মেনে নিতে পারেনি। আমার আত্মীয় স্বজনরা মেনে নিতে দেয় নি। কারণ খুব স্বাভাবিক।

আমার মেসো মার্চেন্ট নেভিতে কাজ করতো। অগাধ পয়সার মালিক। কিন্তু মাসি প্রথম তখন গর্ভবতী হয়েছিলো তখন মেসো বাড়িতে আসতে পারে নি। কিন্তু সন্তান প্রসব সময় কোন জটিলতা কারণে মাসি অথবা সন্তান কাকে চাও জিজ্ঞেস করায়, মেসো মাসীকে চায় বলে। যদিও ডাক্তার বলেছিলেন মাসি আর মা হতে পারবে না। তারপর থেকেই আমি এ বাড়িতে আশ্রয় পাই। আত্মীয় স্বজনরা সবাই মাসি মেসোকে মা বাবা বলে ডাকতে বলতো কিন্তু আমি তা করতে পারি নি। তবে তারা আমাকে সন্তানের মতোই মানুষ করে।

যদিও মেসোর বাড়িতে থাকলেও মাসি তার সন্তান খুনি হিসেবে মেসোকে দায়ি করে মেসোর সাথে কথাও বলতো না। মেসো ও বাড়িতে কিছুটা একাই থাকতো। হঠাৎ একদিন মেসো একটা মৃত প্রায় মেয়েকে নিয়ে এলো। একটা গরীব মুসলিম পরিবারে মেয়ে। খুব অসুস্থ ছিলো। চিকিৎসা করাতে অনেক খরচ শুনে ওকে ফেলে দিতে যাচ্ছিলো। কারণ মেয়েরা তো সন্তান জন্ম দেওয়া ছাড়া অন্য কোনো কাজে আসে না। এই কথা জানতে পেরে কিছু টাকার বিনিময়ে ওকে কিনে নিয়ে আসে। মেসোর এই পদক্ষেপকে কেউ সেইদিন সমর্থন করে নি। কিন্তু মেসো বেশ খুশি ছিলো। মেয়েটি বাঁচিয়ে তুলে, ওকে নিয়ে বেশ দিন কাটাতো।

মেসো ওর নাম রেখেছিলেন লক্ষ্মী । ছোট বেলায় ওকে কেউ পছন্দ করতো না। কারণটা একটাই কোথা থেকে একটা মুসলমানের মেয়ে এসে মাসিমা অগাধ সম্পত্তির ভাগ বসাবে। কিন্তু পরে সবাই ভুলে গেলো ওর পূর্ব পরিচিত। হাসনাহেনা যেমন তার গন্ধ সবাইকে সম্মোহিত করে তেমনি ও আমাদের পরিবারের একজন হয়ে গেল। পড়াশোনা জন্য আমি বোর্ডিং স্কুলে আসা, তারপর শহরে চলে যাওয়ার , ও মাসি একাকিত্বকে সুযোগ হিসেবে কাজ লাগিয়ে মাসির মনটাও দখল করলো। মাসি মেসোর ঝগড়া ও মিটিয়েছে। ও এখন এ বাড়ির আদুরে মেয়ে।

মাসি মেসোকে সারপ্রাইজ দিতে না জানিয়ে শহরে ফিরেছি। অথচ মাসি মেসো বৃন্দাবন ঘুরতে গেছে। বাড়ি পাহারা দিতে লক্ষ্মী বাড়িতে ছিলো। কাজ লোকজনকে ছুটি দিয়ে একা বাড়িতে যা খুশি করবে বলেই ঠিক করে রেখেছিল।এতোক্ষণ ছাদে বৃষ্টি ভিজলো। ঐ বৃষ্টি ভেজা ও শরীরটা ভীষন আকর্ষণীয় ছিলো। সারা শরীরে ভেজা কাপড় জাপটে ধরেছিলো। বুকের বিভাজিকা থেকে গোপনাঙ্গ যেনো স্পষ্ট ফুটে উঠেছিলো। আমি হয়তো লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম ওর দিকে। ও সেটা ভালোই বুঝতে পারছিলো। তারপর হঠাৎ করে এসে বললো ওর ব্লাউজটা খুলে দিতে। এটা খোলা আহ্বান কিন্তু সংযত করলাম নিজেকে। পোশাক ছেড়ে একটা টাওয়েল জড়িয়ে ও চলে গেলো ও ওর ঘরে।

বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে রাত হয়ে গেলো। ওর সারা শব্দ নেই। অনলাইনে খাবার ওর্ডার করবো কিনা জানতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম লক্ষ্মী জ্বর বাঁধিয়ে বসে আছে। জলপট্টি সেবা শুশ্রূষা চালু করলাম। রাতে তাই ওর ঘরে থেকে গেছিলাম। ওর বিছানা পাশে বসে ওকে জলপট্টি দিতে দিতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না।

ওর ঝাঁকুনিতে যখন উঠলাম তখন বাইরে আকাশ ফর্সা হয়নি কিন্তু পাখির আওয়াজ বলে দিচ্ছে ভোর হবে হবে। ও বললো "এবার তুমি তোমার ঘরে যাও।"

আমি বললাম" তোর জ্বর কমাছে!"

ও ইশারায় জানালো হুঁ। আমি ওর জ্বর পরীক্ষা করতে ওকে ছুঁলাম। ও শরীরটা নরম ওকে ছুঁতে ভালো লাগে ছিলো। ও আপত্তি করলো না। তাই অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে গেলো আমাদের সম্পর্কটা ভোরটা সকাল হয়ে গেলো তবুও ওকে জড়িয়ে শুয়ে থাকলাম। ওকে ছাড়তেই চাইছিলাম না। কিন্তু হঠাৎ ইন্দ্রানী গলা পেয়ে আমি আতংকে ওঠলাম। তাড়াতাড়ি ওর ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম।

ইন্দ্রানী কে? আমার গার্লফ্রেন্ড। কাল সারারাত ফোন ধরি নি বলে এসে হাজির। রবিবার তাই কোথাও ঘুরতে যাবার কথা বললো ও। রাজী হয়ে গেলাম। তারাতারি তৈরি হয়ে বেড়ালাম।

What app লক্ষ্মী একটা মেসেজ দিলো। "একটা পিল এনো কিন্তু আমার জন্য।" আমি অপরাধীর মতো জিজ্ঞেস করলাম "কেনো?" রিপ্লাই ও লিখলো "হাসনাহেনা গন্ধে নেশা আছে। তবুও তাকে নিয়ে কেউ বাসা সাজায় না।"

,,,,,,,



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Abstract