গনেশ চতুর্থী
গনেশ চতুর্থী
মহারাষ্ট্রে গণেশ চতুর্থী সবচেয়ে বড় উত্সব । কিন্তু একটু ইতিহাসের পাতায় গেলে দেখতে পাবেন শিবাজির আমলে এটি জনপ্রিয় হয়। শিবাজি ১৬৩০ থেকে ১৬৮০ সালের মধ্যে মুঘলদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটাতে এই ‘গণপতি উত্সব’-এর সূচনা করেন। এবং পরবর্তী সময়ে পেশোয়াদের কুলদেবতা হিসেবে গণেশের পুজো শুরু হয়।
তবে ১৮৯৩ সালে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় পুনের বাসুদেব লক্ষণ জাভালে ব্রিটিশদের বিরোধিতার প্রতীক হিসেবে সর্বজনীনভাবে গণেশ চতুর্থী পালন করতে শুরু করেন। এই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল বাল গঙ্গাধর তিলকের কেশরী পত্রিকাতে। তিলকও হিন্দু জমায়েত বিরোধী ব্রিটিশ নির্দেশের বিরুদ্ধে সর্বজনীনভাবে গণেশ চতুর্থীকে জনপ্রিয় করে তোলার ডাক দিয়েছিলেন।
তবে স্বতন্ত্র এবং পৃথক দেবতা হিসেবে গণেশের উদ্ভব হয়েছিল খ্রিষ্টীয় চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দীতে গুপ্তযুগে । এ কথা মানতে হবে একাধিক বৈদিক ও প্রাক-বৈদিক উৎস থেকেও গণেশের উল্লেখ পাওয়া গেছে আগেই । কিন্তু দেবতা হিসেবে তাঁর জনপ্রিয়তা অতি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং নবম শতাব্দীতে পঞ্চ প্রধান স্মার্ত দেবতার অন্যতম রূপ হিসেবে বিবেচিত এবং মান্য হন সিদ্ধিদাতা গণেশ।
এই সময়কালে গণেশকে সর্বোচ্চ দেবতা হিসেবে স্বীকার করা হয় এবং গাণপত্য সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে।
#historyofganesh
