STORYMIRROR

Indranil Mukherjee

Abstract Others

3.3  

Indranil Mukherjee

Abstract Others

চিন্ময়ী মার্ডার কেস (Part 2)

চিন্ময়ী মার্ডার কেস (Part 2)

2 mins
270


সেই দিন সন্ধ্যায় চেম্বার খুলতে দেড়ি হল।

চেম্মার এর আলো জ্বালাতেই চোখে পরল চিয়ারের উপর 

রাখা একটা সবুজ রং এর প্লাস্টিক। 

প্লাস্টিক এর উপরে লেখা আছে সুভম বস্ত্রালয়।

কোটা চাঁদনি পুর আদর্শ নগর,পানাগর, দূর্গাপুর, বর্ধমান।

ওনারা ফেলে গেলেন নাকি?

পিছন থেকে হঠাৎ কাশির শব্দ পেলাম।

স্টেম্প পেপার আছে?

আমি বল্লাম – তোমার কত স্টেম্প পেপার লাগে পূজা?

পূজা এই বার এইচ এস দিল। আসাধারণ সুন্দরী ও। আমার প্রেমে তখন ও পাগল।

কোটি পতির মেয়ে। আমার থেকে বেশ ছোট বয়সে।এক বার তো আমার 

কাছ থেকে কোট পেপার নিয়ে গিয়ে ওটার উপর লাভ লেটার লিখে দিয়েছিল আমাকেই

কিন্তু আমার রস্তা সম্পুর্ন আলাদা। তাই উত্তর দি নি। 

আমি কোট পেপার দিয়ে বল্লাম -আবার কি লিখবে কবিতা?

ও বল্ল -সেটা আমার ব‍্যক্তিগত ব‍্যপার। আপনার মত হার্ট লেস মানুষ বুঝবে না।

একটা উত্তর দিলে আপনার ওকালতি ছাড়তে হত না।

আমি বল্লাম – দশ টাকা দেও। কোর্ট পেপারের জন্য।

পূজা টাকা টা ছুড়ে দিয়ে চলে গেল। কোটপেপার টা বাইরে গিয়ে ছিড়ে ফেলে দিল ড্রেনে। 

হঠাৎ পাড়ার এক দ

ল ছেলে এসে জুটলো। 

বল্ল- দাদা আমারা এই মাঠে টুনামেন্ট করছি আগামী 26 মে।

কিছু চাঁদা দিতে হবে।

আমি খুব বিরক্ত হলাম। এই দুপুরে র ব‍্যপার টা, আবার এদের অত‍্যাচার। আর পারিনা।

আমি বল্লাম – কত দিতে হবে?

হাজার টাকা দিন। আর কি বলব।

আমি বল্লাম পাগল নাকি? ক্রিকেট টুনামেন্ট এর জন্য হাজার টাকা চাঁদা?

এক জন মাতব্বর বল্ল- আরে দাদা আমারা কি শুধু খেলার জন্য চাইছি? এত দিন পরে মাঠে খেলা একটু দারু টারু খাব না?

আমি বল্লাম সে তোমারা যা ইচ্ছে খাও গে। আমি ওত টাকা দিতে পারব না।

একশ টাকা দিতে পারি।

একজন চিৎকার করে বল্ল- এখানে বসে লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছেন।

পারার কঁচি কঁচি মেয়েদের ঝাঁড়ি মারছেন, আমরা কি কিছু বুঝতে পারিনা?

আমি চিৎকার করে উঠলাম – ঐ এক্ষুনি সব কেটে পর এখান থেকে। ভাবিস না আমি হাতে চুঁড়ি পরে আছি। এক পয়সা দেব না। আমি আচ্ছা আচ্ছা ক্রিমিনাল কে টাইট দিয়েছি তোদের মত। সবাই ভয়ে চেম্মার থেকে বেরিয়ে গেল। এক বল্ল- কাজটা ভালো 

করলেন না। আপনাকে আর বেশি দিন এখানে বসতে হবে না।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Abstract