Scarlett MonaLiza

Horror Fantasy Thriller

3  

Scarlett MonaLiza

Horror Fantasy Thriller

বাস স্টপ

বাস স্টপ

4 mins
205


সকাল থেকেই ভীষণ বৃষ্টি পড়ছে। তার মধ্যে গাড়িটা চলছে। ওয়াইপার দুটোরও বিশ্রাম নেই। সুমন স্টিয়ারিংয়ের উপর থেকে হাত সরাচ্ছেনা। সে জানে তাকে পালাতেই হবে। যেমন করে হক ওই বিভীষিকার হাত থেকে বেঁচে তাকে পালাতেই হবে। তাই সে গাড়ির গতি আরো বাড়িয়ে দিলো। সুমনের চোখ বারবার তার পাসের ভেজা সিট ছাপিয়ে দরজাটার দিকে চলে যাচ্ছে। সে বারংবার যাচাই করে চলেছে আদেও বা-দিকের ডোরটা ভিতর থেকে লক করা কিনা। ভয় এখনো তার শরীরটা কেপে উঠছে। গায়ের রোম দাঁড়িয়ে আছে।


দূরে কোথাও জোর বাজ পড়লো। সেই শব্দে তার ভাবনায় কিছুও পরিবর্তন হলো না। তার এখন একটাই লক্ষ্য, তাকে পালাতে হবে। যে করে হোক ওই বিভীষিকার নাগালের বাইরে বেরোতে চায় সে। এবার বৃষ্টির বেগের সাথে হাওয়ার বেগও বেড়ে গেল। গাড়ির কাঁচ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও তার শার্ট ভেদ করে হাড় কেপে যাচ্ছে।


ওয়াইপর দুটো ডানদিক-বাঁদিক করে চলেছে। তারই ফাঁক দিয়ে নামহীন বাস স্টপটা সুমনের চোখে পড়লো। সে আরো দেখতে পেলো, রঙিন ছাতা মাথায় একজন নারী মূর্তি দাড়িয়ে আছে। যদিও ছাতাটির দ্বারা তার বিশেষ কোনো সুরাহা হচ্ছেনা। এমনিতেই বৃষ্টিতে তার সর্বাঙ্গ ভেজা। নেটের পোশাকে তার নিম্নাঙ্গ ছাড়া সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে। না চাইতেও সুমন গাড়ির ব্রেকে একটা পা চাপিয়ে গাড়িটা থামিয়ে ফেললো। তারপর লিফ্ট চাওয়ার ভঙ্গিতে দাড়িয়ে থাকা মেয়েটির উদ্দেশে বাঁদিকের দরজার লক-টা খুলে দিয়ে তাকে হাতের ইশারায় গাড়িতে উঠতে বললো। মেয়েটি অবলীলায় তার পাশে এসে বসল। সুমন আবার স্টিয়ারিং হুইলে হাত রাখলো। ইতিমধ্যে গাড়ির গতিবেগও বাড়িয়ে দিলো। কারোরই মুখে কোনো কথা নেই, কিন্তু আকর্ষিত নারী শরীরটার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে সুমন। এমন শরীর দেখলে নিজেকে সংযত করাটাই মুশকিল হয়। সুমনেরও তাই হলো। মেয়েটির চুল ভিজে সপসপ করছে। চুলের আগা বেয়ে একভাবে জল গড়াচ্ছে, ফল স্বরূপ তার গাড়ির সিট অনর্গল ভিজে যাচ্ছে। কপাল বেয়ে গড়িয়ে আসা জল প্রথমে চোখ তারপর নাক অতিক্রম করে নিম্ন ঠোঁটে জড়ো হয়ে টুপটুপ করে পড়ছে। গোলাপি ঠোঁট দুটো ঈষৎ কাপছে। সেটা সিতে কিনা সুমন বুঝতে পারলো না। মুখ থেকে চোখ গলায় নামলো সুমনের। সে খালি নরম গলাটা দেখলো। ভেজা গলাটা প্রয়োজনের থেকে বেশি ফর্সা লাগছে। তারপর সুমনের চোখ আরেকটু নিচে নামতেই মেয়েটি তার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো "এবার তো সামনে দেখে গাড়িটা চালান, আমায় দেখার সুযোগ অনেকই পাবেন"। মেয়েটির কোথায় সুমনের যেনো হুশ ফিরল, সে আবার সামনে তাকিয়ে গাড়ি চালানোয়ে মন দিল। কিন্তু তার একবারের জন্যে হলেও মনে হলো, সে যেনো কিছু একটা ভুলে গেছে আর কিছুতেই সেটা মনে করতে পারছে না। মনের মধ্যে নিজেই নিজের সাথে দ্বন্দ্ব করে চলেছে সুমন। তাকে চুপ করে গাড়ি চালাতে দেখে মেয়েটি নিজেই প্রশ্ন করলো, "আপনি আমায় না চিনেই লিফ্ট দিতে রাজি হয়ে গেলেন কীকরে? আমি সত্যিই ইমপ্রেসড"। সুমন আড়চোখে তার দিকে তাকিয়ে নিয়ে বললো, "এ আর এমন কিি, সুন্দরী মেয়ে দেখলে যে কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি হয়ে"। সুমনের কোথায় মেয়েটির কপাল কিছুটা কুচকে গেলো, তারপর সে শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো, "আমায় কি আপনার চোখে দেখা সুন্দর মহিলারদের লিস্টে রাখছেন"। সুমন গলায় কিছুটা অবাক সুর মিলিয়ে বললো, "দ্যাস্ট রিয়ালি আ নাইস জোক ডিয়ার"। মেয়েটা যথেষ্ট সিরিয়াস হয়ে বললো, "নো, নট আট অল্ আই অ্যাম নট জোকিং"। সুমন মনেমনে ভাবলো অতি সুন্দরী মহিলা তো তাই এই ধরনের টপিকলেস কথা বাত্রা বলছে, কারণ সে ভালো করেই জানে যে তাকে নিয়ে লুকিসম করলে তার কিছু এসে-যাবে না"।

আবার কিছুক্ষনের নিরবতা। তারপর মেয়েটির নজর গেল সুমনের বা-হাতের দিকে। সেই হাত দিয়ে সুমন মুঠো করে ধরে রেখেছে নিজের পুরুষাঙ্গ। সুমন অবশ্য মেয়েটি কে নিজের ইচ্ছার কথা বোঝানোর জন্যেই এই কাজটা করেছে। সবটা বুঝতে পেরে মেয়েটি যখন তার ডান হাতের তর্জনী দিয়ে সুমনের বা-চোয়ালে বোলাতে লাগলো সুমনের মুখে তখন ফুর্তির হাসি দেখা দিলো। পঞ্চ-আঙ্গুলে তার চুলগুলো যখন মেয়েটি এব্র-খেব্র করে দিলো তখন সুমন আর নিজেকে সংযত করতে পারলো না। জোর ব্রেক কসে গাড়িটা থামিয়ে দিয়ে মেয়েটিকে দুই বাহুতে জড়িয়ে ধরে চুম্মন করলো। লালা জড়ানো জিভ দুটো মিলিত হতে বেশি সময় নিলোনা। কিন্তু তার পরেই ঘটলো কান্ডটা। সুমন হতভম্ব হয়ে দেখলো মেয়েটির মনির বাইরের সাদা অংশটা ধীরে-ধীরে কালো হয়ে গেলো। ঠোঁটের অংশ থেকে মুখটা বাদামি রঙের বর্ণে ফুটে উঠছে। সুমন মেয়েটা কে ছেড়ে দিলো কিন্তু পরমুহূর্তেই বুঝতে পারলো তার আলিঙ্গন থেকে সে নিজেকে এখনও বেরোতে পারেনি। রোগা শরীরের মেয়েটির গায় যে এত জোর, যে সুমনের মত একজন পেটানো শরীরের পুরুষকে জড়িয়ে তার দম বন্ধ করে দিতে পারে, সেটা ভেবেই তার ভয় আরো বেড়ে গেলো। নরম হাত দুটো সুমনকে আলিঙ্গন মুক্ত করে তার গলা চেপে ধরলো। তীক্ষ্ণ-ধারালো নকগুলো ধীরে-ধীরে গেঁথে যেতে লাগলো সুমনের গলায়। এই বিভীষিকাতেও সুমন বুঝতে পারলো তাকে বাঁচতে হবে। তাই সে কোনো কিছু না ভেবে ডানপা টা কোনো রকমে তুলে দিলো সজোরে পিশাচিনিটার পেটে এক লাঠি। পিশাচিনিটা ভয়ংকর চিৎকার করে ছিটকে পড়লো গাড়ির বাইরে। সুমন লেফ্ট-ডোরটা সজোরে টেনে লক করে দিলো। তারপরই ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়িটা চালিয়ে দিলো। সকাল থেকেই ভীষণ বৃষ্টি পড়ছে। তার মধ্যে গাড়িটা চলছে। ওয়াযইপর দুটোরও বিশ্রাম নেই। সুমন স্টিয়ারিংয়ের উপর থেকে হাত সরাচ্ছেনা। সে জানে তাকে পালতেই হবে। যেমন করেই হক ওই বিভীষিকার হাত থেকে বেঁচে তাকে পালাতেই হবে। তাই সে গাড়ির গতি আরো বাড়িয়ে দিলো। সুমনের চোখ বারবার তার পাসের ভেজা সিট ছাপিয়ে দরজাটার দিকে চলে যাচ্ছে। সে বারংবার যাচাই করে চলেছে অদেও বা-দিকের ডোরটা ভিতর থেকে লক করা কিনা। ভয় এখনও তার শরীরটা কেপে উঠছে। গায়ের রোম দাঁড়িয়ে আছে।

দূরে কোথাও জোর বাজ পড়লো। সেই শব্দে তার ভাবনায় কিছুও পরিবর্তন হলো না। তার এখন একটাই লক্ষ্য তাকে পালাতে হবে। যে করেই হোক ঐ বিভীষিকার নাগালের বাইরে বেরোতে চায় সে। এবার বৃষ্টির বেগের সাথে হওয়ার বেগও বেড়ে গেলো। গাড়ির কাঁচ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও তার শার্ট ভেদ করে হাড় কেপে যাচ্ছে।

ওয়াইপার দুটো ডানদিক-বাঁদিক করে চলেছে। তারই ফাঁক দিয়ে নামহীন বাস স্টপটা সুমনের চোখে পড়লো। সে আরো দেখতে পেলে, রঙিন ছাত মাথায় একজন নারী মূর্তি দাড়িয়ে আছে।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Horror