STORYMIRROR

Ankita Mukherjee

Classics Inspirational Thriller

4  

Ankita Mukherjee

Classics Inspirational Thriller

হুঁশ......🚗💨

হুঁশ......🚗💨

3 mins
48

দেহ চুল্লিতে ঢোকার পরে নিজেকে আর ধোরে রাখতে পারেনা অনিমেষ। ছুটে বেড়িয়ে যায় শশান থেকে। গাড়িটা দীশাহীন ভাবে ছোটাতে থাকে আর ঠিক তখনই একটা লোক সামনে এসে পরে। সময় মত ব্রেক না কসায় লোকটা তার গাড়িতে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পরে যায় রাস্তার ওপাশে। এই নিয়ে দ্বিতীয় অ্যাকসিডেনট হলো তার গাড়িতে। কিন্তু এবার সে ছুটে গিয়ে মুখ দেখেনা। গাড়িটা আরো জোর ছুটিয়ে দেয়। যদিও আজ সকালটা তার এভাবে শুরু হয়নি। একটা ফুরফুরে মেজাজে অনিমেষ নিজে ড্রাইভ করে প্রতিদিনের মতই অফিসে বেরিয়েছিলো। হঠাৎ করেই আননোন নম্বর থেকে ফোন আসে। নম্বরটা সম্ভবত কোনো বুথের। অনিমেষ "হেলো" বলতেই, ওপাশ থেকে একটা কম্পিতো পুরুষ কন্ঠ বলে ওঠে "একটু স্পিডটা কমাও, নইলে যখন তখন অ্যাকসিডেনট হয়ে যাবে তো। এত র‌্যাস ড্রাইভ ভালো না"। অনিমেষ তার নাম জানতে চাইলে লোকটা চুপ করে থাকে। অনিমেষ দুবার "হেলো হেলো" করে ফোনটা কেটে দিতে যায় তখনই লোকটা আবার বলে ওঠে "সাবধানে গাড়িটা চালাও, নইলে প্রাণটা তো চলে যাবে"। এবার অনিমেষ খেপে যায়। রাগের মাথায় বলে ওঠে "কেরে তুই? ইয়র্কি মারছিস আমার সাথে। রাখ তোর ভাষন"। অনিমেষ নিজেই ফোনটা কেটে দেয়। তারপর খুব স্পিডে একটা টার্ন নেয় আর সাথে সাথে ধাক্কা অন্য একটা গাড়ির সাথে। অনিমেষের কোনো খতি হয়না কিন্তু অনেক লোক জড়ো হয়ে যায়। অনিমেষের গিলটি ফিল হয়। সে অন্য গাড়িটার কাছে গিয়ে দরজা খোলে আর ঝটকা খায়। অনিমেষের অবিনাশের নাম ধরে ডাকতে থাকে কিন্তু তার কোনো স্বারা শব্দ নেই। লোকজনের সাথে মিলে তাকে নিজের গাড়িতে তোলে অনিমেষ। ছোটবেলার বন্ধুর মায়ের নম্বরে ডায়াল করে। অবিনাশের বৃদ্ধ বাবা-মায়ের কাছে নিজেকে অপরাধী মনে হলেও তারা তাকে দোষ দেয়না। অতয়েব পুলিশের ভূমিকা এখানে শূন্য। অ্যাকসিডেনট শুনে যেমনভাবে তারা এসেছিল ঠিক তেমনভাবেই তারা বেড়িয়েও গেলো। ডাক্তারের সাথে কথা বলা থেকে শুরু করে শশানে নিয়ে যাওয়ার সব দাইত্ত্ব অনিমেষই পালন করলো।
এসব যতো তার মনে পরছে, নিজেকে ততই পাগল পাগল লাগছে। সারারাত গন্তব্যহীন ভাবে গাড়িটা ছুটিয়ে অবশেষে ভোরের দিকে ঘুম পায় তার। ঘুম ভাঙ্গলে সে ঠাহর করে জায়গাটা অপরিচিত। হাত ঘড়ি সে কখনোই পরেনা। মোবাইলটাও ডেড হয়ে পরে আছে। সে গাড়ি থেকে বেড়িয়ে সামনেই একটা বুথ দেখে। সেখানে ঢুকে একটা পরিচিত নম্বরে ফোন করে। ওপাশ থেকে কেউ "হেলো" বলে। অনিমেষ কম্পিতো কন্ঠে বলে "একটু স্পিডটা কমাও, নইলে যখন তখন অ্যাকসিডেনট হয়ে যাবে তো। এত র‌্যাস ড্রাইভ ভালো না"। ওপাশের লোকটা তার নাম জানতে চাইলে, অনিমেষ চুপ করে থাকে। লোকটা দুবার "হেলো হেলো" করে ফোনটা কেটে দিতে যায় তখনই অনিমেষ আবার বলে ওঠে "সাবধানে গাড়িটা চালাও, নইলে প্রাণটা তো চলে যাবে"। এবার লোকটা খেপে যায়। রাগের মাথায় বলে ওঠে "কেরে তুই? ইয়র্কি মারছিস আমার সাথে। রাখ তোর ভাষন" বলে সে নিজে ফোনটা কেটে দেয়। অনিমেষ ফোনটা নামিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে বুথের মধ্যে। তারপর অবিনাশের বাড়ির উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে যায়।
অবিনাশের মা-বাবাকে শান্ত করে সে যখন বেড়োয়ে, তখন রাত গভীর হয়েছে। নিজের গাড়িটা রাস্তার ওপাশে পার্ক করে রেখেছিল তাই রাস্তা ক্রস করতে যায় আর দ্রুত আসা একটা গাড়ির আলো তার চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। খনিকের জন্য তার পা-দুটো থেমে যায় আর গাড়িটা জোর ধাক্কা মারে তাকে। অনিমেষ ছিটকে পরে যায় রাস্তার ওপাশে। লখ্য করে, গাড়িটা আরো জোর বাড়িয়ে ছুটে চলে যায় তাকে ফেলে রেখে।


ଏହି ବିଷୟବସ୍ତୁକୁ ମୂଲ୍ୟାଙ୍କନ କରନ୍ତୁ
ଲଗ୍ ଇନ୍

Similar bengali story from Classics