অমৃতের প্রকাশ
অমৃতের প্রকাশ


সাগর নাচে রবির স্বর্ণালি কিরণে। বৃক্ষ নাচে সমীরনে। পাহাড় গায়ে নাচে ঝর্না। মুক্তিতে নাচে প্রাণ। আনন্দে নাচে মন।
গ্রীষ্মে নাচে সাপ। বর্ষায় নাচে আকাশ জুড়ে মেঘকন্যা। শরতে নাচে কাশ। হেমন্তে রিনিঝিনি নাচে ঝরাপাতা। শীতে নাচে উত্তরে হাওয়া। বসন্তে নাচে লাল পলাশ।
সঙ্গীতের লহরীতে স্টেজের উপরে মানব-মানবীর মুদ্রা ভঙ্গি প্রদর্শনই নয় একমাত্র নাচ। নাচে জন্ম, নাচে মৃত্যু। সবাই নাচে নিজের মতো করে, করতে নিজের আনন্দের প্রকাশ। নাচ হলো যে কোন পরম আনন্দের বহিঃপ্রকাশ।
জীবন থাকলে থাকে দুঃখ, থাকে আনন্দ। জীবনের আনন্দে, আনন্দের আধারের তালে-তানে নড়াচড়াই হলো নাচ। জীবনে দুঃখ কেউ পেতে চায় না। দুঃখ জীবনে অনভিপ্রেত।আনন্দই হলো জীবনের অমৃত। নাচেই ঘটে জীবনের অমৃতের প্রকাশ। তাই তো নাচই হলো জীবন।