অম্বুবাচী কি ??
অম্বুবাচী কি ??
অম্ববাচী
কামাখ্যা মন্দিরের মূল উৎসব " অম্বুবাচী" বা অমাবতী ৷ বাংলা প্রবাদ " কিসের বার কিসের তিথি , আষাঢ়ের সাত তারিখ অম্বুবাচী" ৷হিন্দু বিশ্বাস এই সময় পৃথিবী ঋতুমতী হন ৷
পালিত হয় " অম্বুবাচী" উৎসব ৷ ওড়িশাতে একে বলে রজঃউৎসব ৷ এই সময় বিধবা মহিলা ও ব্রতীরা গরম খাবার খান না ৷ব্রত পালন করেন ৷ হল কর্ষন , গৃহ
প্রবেশ , ও বিবাহ বন্ধ থাকে ৷ সব মন্দিরের প্রবেশ দ্বার বন্ধ রাখা হয় ৷ শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণের নিত্যসেবা যে কোন নারী রজঃস্বলা অবস্থায় বা অশৌচ অবস্থায় যেমন করতে পারেন । কামরূপ কামাখ্যা মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে
লাল রংয়ের তরল ( ভক্তদের মতে মায়ের রজস্রাব) বের হয় ৷ সারা ভারতবর্ষ থেকে লাখ লাখ ভক্ত এই সময় কামাখ্যা মন্দিরে উপস্থিত ৷ নাম গানে কীর্তনে এলাকা মুখর হয়ে ওঠে ৷ পান্ডারা ভক্তদের ওই রক্তভেজা কাপড়ের টুকরো দেন ৷যা পুরুষেরা ডান হাতে বা গলায় এবং মহিলারা বাঁ হাতে বা গলায় মাদুলি করে পরেন ৷ মনে করা হয়
মায়ের আর্শীবাদে এতে দুঃখ বিপদ দূর হয় ৷ এই রক্তবস্ত্র পরিধান করে শ্মশানে ও মৃতের ঘরে যেতে নেই ৷
কামদেবতাএখানে কামাখ্যা মন্দির স্থাপন করেন বলে নাম
"কামরূপ কামাখ্যা "৷স্বপ্ন পেয়ে কোচবিহারের রাজা বিশ্ব সিংহ প্রতি ইটে এক রতি করে সোনা দিয়ে সপ্ত রথ আকৃতির মৌচাকের আদলে তৈরী মন্দিরটি তৈরী করেন ৷সাতটি গম্বুজে রয়েছে তিনটি সোনার কলসী ৷মন্দিরের চারটি কক্ষ -গুহ্য গৃহ এবং চলন্ত , পঞ্চরত্ন ও নাটমন্দির নামের তিনটি মন্ডপ ৷ কালাপাহাড় মন্দিরের ক্ষতি করলে রাজা নরনারায়ণ তা পুনর্নিমাণ করেন ৷মন্দির চত্বরে আছেন দশ মহাবিদ্যা ও তাঁদের ভৈরব ৷ কামাখ্যার ভৈরব উমানন্দ আছেন সামনে দ্বীপে ৷ সবচেয়ে বড় উৎসব হয় "অম্বুবাচীতে" ৷ এসে গেল সেই অম্বুবাচীর দিনগুলো ৷আষাঢ় মাসের ঐ দিনগুলিতে মা স্বয়ং ঋতুমতী হন ৷ পাথরের গায়ে লাল জল দেখা যায় ৷ আর ঐ ভেজা কাপড়ের টুকরোকে ভাবা হয় খুব পবিত্র ৷অম্বুবাচীতে দর্শন বন্ধ থাকে ৷ ১৫ বছরে একবার মায়ের মুখ দেখা যায় ৷ বশীকরণ , বাণ মারার বুজরুকি করে জগৎজননী মাকে সন্তানদের থেকে দূরে রাখা বা ভয় পাওয়ানো অহেতুক ৷ তাই গিয়েছি গৌহাটি শহর থেকে চল্লিশ কিমি দূরে মায়াং গ্রামে ৷ চারটি আদিশক্তি ও ১৮- টি মহাশক্তি পীঠের অন্যতম ৷
