STORYMIRROR

Apurba Kr Chakrabarty

Classics Others

4  

Apurba Kr Chakrabarty

Classics Others

অজানা পথেপর্ব - ২৭

অজানা পথেপর্ব - ২৭

3 mins
287

বিদেশের অনেক ধনী মানুষ মেয়েদের কিনতে আসে নানা ছদ্মনাম ছদ্মবেশে,বেড়ানোর নাম করে।ব্যবসা বা চিকিৎসার নাম করে।বেশিরভাগ মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশের ধন কুবের। মেয়েটিকে খুব উচ্চ দামে আরবে বিক্রি করে। আরবের ধন কুবের সেখদের বিকৃত যৌন উপভোগের জন্য পাচার করা হয়েছিল। কতটা সত্য মিথ্যা ময়না তা জানত না। শেখরা কী ভাবে বিকৃত বর্বরদের মত নির্যাতন করে উপভোগ করে তার একটা ভিডিও ঐ মাসী দেখিয়েছিল।পরে এই সব অভাগীর দল, দগ্ধে দগ্ধে মরে বা,পরে ওরা রুগ্ন হলে রূপ যৌবন নষ্ট হলে তাড়িয়ে দিলে পথে পথে ভিক্ষা করে বা অনাহারে মরে। এমন সব গল্প বলে ময়নার মনোবল তলানিতে এনে দেয়। কতটা সত্য বা অর্দ্ধ সত্য আজও ময়না ঠিক জানে না।

ময়না মাসীর সব কথা শুনত। কি সব আগত খদ্দের দালালদের সাথে আলোচনার হত হিন্দি বা উর্দুতে। ময়নাকে তিন দিন অনেক পুরুষ নানা ভাবে উপভোগ করলেও মাসী তার কুমারীত্ব নষ্ট করতে বা কোন রকম শরীরে আঘাত ক্ষত করতে কড়া নিষেধ করে।তার নগ্ন শরীরটা দেখে বা নানা ভাবে স্পর্শ করার মন্থন করার ছাড় ছিল।

তখন ময়নার শরীর স্বাস্থ্যের ছিল চোখে পড়ার মত।উচ্ছ্বল ফর্সা নব যৌবন সুগঠণা মেয়েলী গড়ন চোখে পড়ার মত।এর কারণ ময়না বুঝল এক ব্যক্তি নন বেঙ্গলী ভাঙ্গা বাংলা জানেন। ময়নাকে এক দালাল নিয়ে গেল কত বড় বাংলোর মত বাড়ি,তার মেডিক্যাল টেস্ট হল।কুমারীত্ব পরীক্ষা হল তাকে জিজ্ঞেস করল নানাভাবে জেরা হল।সেই খানে ময়না অনেক দিন ছিল। মধ্য বয়স্ক মানুষ তাকে নরম বিছানায় উপভোগ করতেন। খাবার দাবারের মান খুব ভাল ,হঠাৎই তিনি একদিন চলে গেলেন খুব সম্ভবত ফরেনে কোন ধনী দেশের তিনি বাসিন্দা।

আবার মাসীর ঘরে।এবার যারা খদ্দের তারা তার সাথে সহবাস থেকে সব কিছুই করত।একজন খদ্দেরের মুখে শুনেছিল ঐ বাবু তাকে তার কুমারীত্ব ও কিশোরীর সুন্দর শরীরটা একমাসে কয়েক লক্ষ টাকায় কিনে নিয়েছিলেন। কোন কাজে তাকে এই শহর কলকাতায় মাঝে মধ্যেই আসতে হয়,উনি সৌখিন মানুষ কুমারী সুন্দরী কিশোরীর শরীর তিনি উপভোগ করেন।পাঁচ দশ লাখ টাকা তার কাছে অতি সামান্য ।আমাদের বিরিয়ানী খাওয়া আর তোমাদের পথের ফুটপাথের হকারদের কাছে দুটাকার কাঠি আইসক্রিম খাওয়ার মত।

ময়না তবু ভাবছিল খাওয়ার মান আর খদ্দেরের উপর মাসীর একটা হুইপ ছিল। কম বয়সের মেয়ে অনেক দামে কেনা ,ওর শরীর যেন নষ্ট করবে না বাবু।সতর্ক করত।

তার কী অদৃশ্য কারনে কেমন একটা ভয় ভয় না কী নিরাপত্তার কারনে ময়নার শামসুরের সাথে বিবাহ বা নিকাহ দেওয়া হয়।ময়না সত্যিই ভাবল শামসুর তাকে শাদি করল। এতটা ভয়ঙ্কর যে শামসুর তখন তার ধারনাই ছিল না।

বর্ধমানে তার গোপন কক্ষে এনে শামসুর জানাল সব শালী অভিনয় ,ঐ মাসীর কাছে তোকে অনেক মুল্যে কিনেছি।পথে যাতে কোন সমস্যা না হয় আমি এমন বিয়ে করে ডকুমেন্ট রেখেদি,আমার বৌয়ের উপর আইনি দাবি থাকবে।এমন বিয়ে আমি কত করলাম।সংখ্যাটাই মনে নেই।

শামসুরের নিষ্ঠুর বর্বর স্বভাব আর বিকৃত আচরণ সঙ্গে অযত্ন নিন্ম মানের খাবার মানসিক চরম অবসাদে সে তার চেহারা রূপ হারাল।শামসুরের আর পছন্দ হত না।এটাই তার স্বভাব। একটু দুর্বল করে তার মনবল ভেঙ্গে দিয়েতাকে চরম চাপে রেখে বেশ্যাবৃত্তিতে লাগিয়ে উপার্জন।আর ইচ্ছামত যেদিন মনে হত তাকে নিয়ে উপভোগ।

বিনয় বাথরুমে স্নান করে পোষাক বদল করে তার ঘরে গেল। পরিপাটি করে তার বিছানা গুছিয়ে বাগিয়ে রেখে রূপসী আজকের পেপারটা বিছানার পাশে একটা টুলে রেখেছিল।

ঘরে টুকে রূপসী বলল দাদা একটু চা করি!

এখনই! চারটে এখনও হয়নি।

গোপালের কান্না শুনে রূপসী খুব উদ্বিগ্ন ব্যস্ত হয়ে পাশের ঘরে হন্ত দন্ত হয়ে ছুটল। বিনয় ভাবছিল কী অসম্ভব মিল,শিবানীর সাথে! তাকে এত যত্ন খেয়াল রাখা আর সবার উপর গোপাল অন্ত প্রান।

একটু পর বাবা একদিন পর ফিরেছে ঘুম থেকে উঠে গোপাল রূপসীর মুখে বাবা বাড়ি ফিরেছে শুনে বাবার ঘরে ছুটে এল।তখন বিকাল।

গোপালকে বাবা খুব যত্ন করে কোলে তুলে আদর করছিল। গোপাল বলল আমার আর মায়ের তোমার জন্য খুব মন খারাপ করছিল।

বিনয় রূপসীকে ঘরে ডাকল।রূপসী লাজুক মুখে ঘরে ঢুকে বলল, গোপাল বাবা তোমার দুধ প্রোটিন পাউডার গুলে এনে দি বাবার কোলে বসে শান্ত শিষ্ঠ ছেলের মত খেয়ে নাও। তারপর আমরা ওঘরে খেলা করব গল্প বলব।বাবার কাল রাতে ভাল ঘুম হয়নি একটু রেষ্ট নেবেন কেমন।

বিনয় বলল,তোমার মুখ চোখ কেমন শুকনো রাতে ঘুম হয়েছিল তো।


             ক্রমশ 


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Classics