1729
1729
-আআআ! আস্তে। আস্তে হাত বোলাও। আআআ! লাগছে। সেদিন পুলিশ টা খুব জোরে পেটে মেরেছে আমায়।
-এই তো ! আদর করে দিচ্ছি। ঠিক হয়ে যাবে।
-উফফ! বাদিক টা একটু আস্তে হাত বোলাও। লাগছে!
-ওদিকে! আবার কে কি করল!
- ওরা খুব জোরে লাথি মেরেছিল !! তুই আমায় নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলিস বলে।
-আহা রে! গালে হাত বুলিয়ে দেই। আয়।
-সেদিন যখন তোর চোখের সামনে পাবলিক থাপ্পর মেরে যাচ্ছিল তখন কোথায় ছিলিস! একবারও কিছু বলিস নি তো!!
-sorry!!!!......... বলব এবার থেকে।
-আমি তোর? নাকি পাবলিকের রে! যে পারে লাথি, ঘুষি, কিল, থাপ্পর মেরে যায়! আর তুই হা করে দেখিস! বল রতন বল!
-আমি কি করব বল!
-একদম ন্যাকা কান্না কাঁদবি না। দরদ দেখলে মরে যাই, পারিনা। এমন ভাব করছিস যেন আমাকে কত্ত ভালবাসিস! আর সারাটা সপ্তাহ আমার উপর সব নোংরামো মুখ বুঝে সহ্য করিস।
- বাসি তো রে। দ্যাখ দ্যাখ , কি সুন্দর আদর করে তোর গা মুছিয়ে দিচ্ছি, মাথা ধুয়ে দিচ্ছি।
-আর এই লোক দ্যাখানো ঢং লাগবে না। সারাটা সপ্তাহ ওরম …
-না। please না। তুমি আমাকে বোঝ তো বল। না হলে খাব কি সোনা!!
-তাই বলে সারাটা সপ্তাহ তোর চোখের সামনে সবাই মিলে …
-আমি যে নিরুপায়! কিছু পয়সা করে নেই। তারপর দেখিস! আর কেউ সাহস পাবে না তোর গায়ে হাত তোলার। খুব যত্নে রাখব তখন তোকে।
-কবে আসবে সেই দিন টা! আসবে তো আদৌ!!!!!!
-শুয়ে পর এবার! রাত হয়ছে।
চোখের কোণে জলের ফোটা টা মুছে বাসে উঠে স্টার্ট দিয়ে একবার দেখে নিল রতন ড্রাইভার। কাল সকাল সকাল আবার বেরিয়ে পরতে হবে।
Weekend এর ছুটি কাটিয়ে আবার যখন শহর ব্যস্ততার জাল বুনতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই ধোঁয়া উড়িয়ে সুগন্ধি পেট্রোলের ঘ্রাণ নিতে পেট্রোল পাম্পে হাজির রতন। সঙ্গে তার সঙ্গিনী WB1729। যাত্রা শুরু!!!!!!!