যুবরাজ
যুবরাজ
মনে পড়ে ২০০০ আইসিসি নকআউট?
সেই মুখজলোকিয়া দেশী তরকা যে করতো
অস্ট্রেলিয়া,নিউজিল্যান্ডের পেসের দফারফা ;
পাক,বাংলা,শ্রীলঙ্কা যে কাউকে ধুলোয় মেশানো,
পলকে তুলোধুনা করে বিপক্ষের জয় নস্যাৎ,
এসব মনে পড়ে?
ব্রডের বল, তাঁর ব্যাটের প্রেমকথা-এ তো জানেনই?
নতুন করে মনে আর কী বা করাবো!
২০০৭ এর বিশ্বজয়কে কাঁধে করে বয়ে
২০১১ এর পূর্ণবিশ্বজয়,
তাও ঠিক ক্যান্সারেরপ্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে।
জীবনটাকে জুয়ায় লাগিয়ে সকলের অলক্ষ্যে
একটা স্বপ্নের মূর্তি,একটা বিজয়ের মূর্তি
গড়েছিলেন সেই যোদ্ধা।
মনে পড়ে,ক্যান্সারকেও যিনি তেরচা ব্যাটে
পাঠিয়েছিলেন জীবনের বাউন্ডারির বাইরে?
পুনরুত্থান হয়েছিলো যাঁর জয়ের চেনা রঙেই ;
কিন্তু সময় তাঁকে বুঝিয়েছে তাঁর ক্রমশঃ অক্ষমতা ,
ধীরে ধীরে ১১ হতে নিতান্তই অলীক হলেন।
ক্রমে দেশী ক্রিকেট উৎসবও তাঁকে ভাবলো ব্রাত্য,
এমতাবস্থায় ক্রিকেট থামালেন যিনি,
তিনি সেই ক্রিকেটের রাজপ্রাসাদের একমাত্র
যুবরাজ,চিরকালই থাকবেন তিনি বুকে,
সর্বোপরি ওই তেরঙ্গার বুকে।