যোগ ব্যায়াম
যোগ ব্যায়াম
আগে ব্যায়াম করতাম, যখন আমি ছোটো ছিলাম,
এখন আমি ঘুমকাতুরে,অলস, বলে কি জনতা আম!
অসি চালনা, ট্র্যাপিজ, শরীর চর্চা কিংবা লাঠি খেলা,
ভুড়ি ওয়ালা, অলস জীবন যাপন না করে বাঙালি
তাই আয়োজন করেছিলেন এসব নিয়ে এক মেলা।
নবগোপাল মিত্র, রাজনারায়ণ বসু, দ্বিজেন্দ্রনাঠাকুর,
উনিশশো সাতষট্টিতে উদ্বোধন করেছিলেন মেলার।
এভাবেই সৃষ্টি হয়েছিলো ন্যাশনাল মিউজিয়ামের ।
রচনা ও পাঠ হতো দেশাত্মবোধক গান ও কবিতার,
বসতো বাঙালি ও পাঞ্জাবি ছাত্রদের কুস্তির আসর।
রাজা কমলকৃষ্ণ, দুর্গাচরণ লাহা, গণেন্দ্র নাথ ঠাকুর,
কাশীশ্বর মিত্র, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, প্যারীচরণ সরকার,
পন্ডিত জয়নারায়ন তর্কপঞ্চানন,দ্বিজেন্দ্র নাথ ঠাকুর,
পন্ডিত ভারতচন্দ্র শিরোমণি, এ ছাড়াও ___
উৎসাহ দিতেন,পন্ডিত তারানাথ তর্কবাচস্পতি !
তখনকার দিনে এ ব্যাপারে ছিলো অনেকেরই সুমতি।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের ব্যাপারটা বেশ ভালো মনে হয়,
রবীন্দ্রনাথের বয়েস তখন ছিলো মোটে বছর ছয়।
নবগোপাল মিত্রর বাড়িতে জিমন্যাস্টিক স্কুল হয়,
ন্যাশনাল জিমন্যাশিয়াম নামে সেই স্কুল জনপ্রিয় হয়।
প্রশিক্ষণ পেয়ে কিছু শরীর শিক্ষার কোচও তৈরি হয়,
তাঁদের এমনি এমনি প্রফেসর বলা হতো তা কিন্তু নয়,
গভর্নর জেনারেল জর্জ ক্যাম্পবেলের নীতির কারণে,
কলেজে পড়াশোনার সাথেই এই শিক্ষাও দেওয়া হয়।
স্বামী বিবেকানন্দ কিছুদিন ন্যাশনাল জিমন্যাশিয়ামে,
নিয়মিত যেতেন যোগ ব্যায়াম শেখার কারণে ।
বুঝেছিলেন অনেকেই মানুষের শরীর যে এক মন্দির,
পূজো মনে করে যদি ব্যায়াম করা যায় তাহলেই
ধীরে ধীরে হয় তা হয়ে ওঠে অবশ্যই সুস্থ ও সুন্দর !
ছোটোবেলায় অনেককেই যোগা স্কুলে ভর্তি করা হয়,
বড় হয়ে কাজের চাপে, আলসিতে ব্যায়াম ভুলে যায়।
সারা পৃথিবীর লোক এখন পালন করে যোগা ডে!
আসলে যোগব্যায়াম কিন্তু করা চাই রোজ,এভরি ডে।
