ত্রিকোণ
ত্রিকোণ
সেই মেয়েটা সূর্যমুখী বনে লুকিয়ে কেঁদেছিল।
একদিন পিঞ্জর ভাঙা পাখির কথা মনে করে
হা-হুতাশ করেছিল চাঁদের ঢিপির পাশে বসে।
আকাশে ছড়ানো মিথ্যে সিঁদুরে মেঘ,
কারো জীবন সূর্য অস্ত গেছে নীরে।
বেলাভুমি ভেজে অনর্গল, ভালোবাসার
বুদবুদ ফেনা হয়ে মিলিয়ে যায় ধীরে।
সেই মেয়েটা এখন ভালো থাকতে চায়।
রোজ একাকি বসে হাফ সোয়েটার বোনে,
চেনা কালবোশেখের গায়ে সেটা তুলে দেবে বলে।
কালো হয়ে আসে মেঘরাজ, মন কেমন জমে থাকে
কর্কশ বুকে। গুমরে ওঠে অভিযোগ প্রচন্ড ব্যাথায়।
পাখি তার পথ ভোলে নীড় ভাঙা ঝড়ে, আর
আছড়ে পড়ে চাঁদের ঢিপির পাশে কলঙ্ক মাথায়।
সেই মেয়েটা সূর্যমুখীর মত মনে মনে ভাবে,
কলঙ্কের চাঁদ মাথায় করে উঠে বসবে ঢিপির উপর,
আর একদিন ঝড়কে সে বিদায় দেবে বৃষ্টির পর।
এভাবেই মেয়েটার তিনকাল কেটে যায় এক এক করে,
সূর্যমুখী বনে সূর্যের আলো আর পড়ে না।
শুধু ঝড় ওঠে, আর ভিজে যায় চাঁদের ঢিপি তারপরে।