ষাট্ ষাট্ মনের ভুল
ষাট্ ষাট্ মনের ভুল
"বাবার হোটেল" কথাটা বোধহয় জানা আছে সবার,
সত্যিকারের হোটেল আর আছে, কয় জন বাবার !
ছোটো খুকি যে বাড়িতে বড় হয়, বিয়ে হবার পর,
বাপের বাড়ি যেন বেশ এক জায়গা, বেড়াতে যাবার!
রান্না না করলেও সেখানে পাওয়া যায় তৈরি খাবার।
তবে হোটেল আর এ বাড়ির মধ্যে ফারাক বিস্তর !
ফেলো কড়ি মাখো তেল, এ তো এই দুনিয়ার নিয়ম,
বাবা-মায়ের কাছে কিন্তু আছে ভালোবাসার দাম।
জৈষ্ঠ মাসের জামাই ষষ্ঠী এলেই করেন নিমন্ত্রন,
বাজার করেন মন ভরে, তাঁদের তখন সাধ্য যেমন।
ঐ দিন জামাই বাবাজীবন একটু বেশিই খাতির পান,
শাশুড়ি-মা যতটা পারেন, রেঁধে,খাইয়ে করেন যতন ।
যেন সারা বছর ওরা ভালো থাকে, খুশি থাকে মন ।
মেয়ে-জামাইয়ের আনা প্রণামীর তাঁতের শাড়ি খান,
কখন নিজের বান্ধবীকে দেখাবেন, মনে মনে ভাবেন।
ইলিশ মাছ, মাংস, মৌরলা আর সুগার ফ্রি রসগোল্লা,
পেটে গিয়ে সকলের না মাচায় কোনোরকম হল্লা!
খরচটা একটু বেশি হলেও, তা কিনে বাবা তৃপ্ত হন।
এরপর সারা মাস চলবেন কোনোরকম, যখন যেমন!
ইংরেজী মাসটা শেষে হলেই, পাওয়া যাবে পেনসন।
কোথাও বেড়াতে গেলে হোটেল থেকে ফেরার সময়,
জানা কথাই, সব কিছু মনে করে গুছিয়ে নিতে হয়।
কিন্তু বাপের বাড়িতে ঠিক, কিছু না কিছু রয়েই যায় !
রুমাল, চশমা, ঘড়ি, কিংবা কোনো গল্পের বই, টই,
লুকিয়ে থাকে ঠিক, কোনো না কোনো এক কোনে !
অথবা চোখে পড়েনা,হয়তো থাকে সেন্টার টেবিলেই,
একদম প্রকাশ্যে, ঠিক সকলেরই চোখের সামনে।
হোটেলের মন নেই, সবটাই একদম যেন প্রফেশনাল,
বাপের বাড়ির আছে পিছুটান, তাই এমন মনের ভুল !
