সোনার টুকরো
সোনার টুকরো
ছেলে আমার খুউব মেধাবী,
সোনার টুকরো ছেলে;
স্কুল কলেজের গন্ডি কেমন
পেরিয়েছে অবহেলে।
ছোট্ট বেলায় দুস্টু ছিল,
বদমাশিতে সেরা,
লুকিয়ে খেত এটা সেটা,
ঠিক যেন ননীচোরা।
স্কুলের পাঠে মন দিতো না,
খেলতো সারাবেলা;
তবুও দেখো মেধার জোরে
ওপর দিকে চলা।
মাস্টারে ঠিক বুঝতো না ওর
অবাক পড়ার ধরন,
কানে শুনেই পাঠের কথা
রাখতো বোধহয় স্মরণ।
মাঝে মাঝেই মাস্টারমশাই
স্কুলে ডাকতো আমাদের,
সদাই দেখি অভিযোগ করে,
উপদেশ দেয় ঢের।
ছাত্রের কোন গুণটা বেশি,
সেটা যাচাই করে,
দেখতে তো হবে কেমন করে
পড়াটা মনে ধরে।
সে সব ছেড়ে শুধুই যদি
দোষটা খুঁজে ফিরি,
বিগড়ে গিয়ে পরীক্ষাতে
করতে পারে চুরি।
সোনার ছেলে বলেই সে না
নিজের খাতা ছেড়ে,
দৃষ্টি দিতো পাশের খাতায়,
ভুল যদি সে করে।
তবুও দেখো শিক্ষক তার
চাইতো না পাশ করে,
খাতার পাতায় নম্বর তারা
দিতো না জোর কোরে।
ভগবান ওর সহায় আছে,
তাইতো মারণ রোগে,
ছড়িয়ে দিলো পৃথিবীময়
সবাই যাতে ভোগে।
স্কুল, কলেজ সব বন্ধ হলো,
অনলাইনে পড়ো,
ল্যাপটপটা সামনে রেখে
জীবনের পথ গড়।
পড়াশোনাটা সহজ হলো,
পাশ করলো ছেলে,
মায়ের মুখটা উজ্জ্বল হবে
একটা চাকরি পেয়ে গেলে।
দুহাত ভরে উপায় করবে
কুশলী খেলা খেলে,
বাড়ি, গাড়ি, বৈভব পাবে
আমার মেধাবী ছেলে।
