সেলফি
সেলফি
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে সকাল সকাল
ভাবতে চেষ্টা করি
জীবন সমুদ্রের পার ধরে আছড়ে পড়া সময়ের হিসেবে
আমরা সত্যি কি ভালো আছি?
সুন্দরী নায়িকার মতো বিভিন্ন পোজে আমাদের ছবি প্রতিদিন খবরে না বেরোক
অনিয়মিত হলেও বেরোচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
যখন একা বসে ভাবি মনে হয়
আমরা তো অনেক ভালো আছি কারণ আমাদের তো বলার মতো কিছু আছে
আমাদের তো বলার মতো কেউ আছে ,
আমাদের তো পেটে ভাত আছে
আছে মাথার উপর ছাদ।
কিন্তু সেই মেয়েটা যে প্রতিদিন স্বামীর হাতে মার খেয়ে জীবনকে ভালোবেসে হাসে
কিংবা সেই ছেলেটা জীবনের বাঁচার ইচ্ছেটা হারিয়ে তবু বাঁচে
যে অসহায় গর্ভবতী ভিখারি প্রতিদিন রাস্তায় একলা হাঁটে
প্রকৃতির ধ্বংসলীলার পর স্বজন হারানো মানুষ যখন কাঁদে তাদের কি বলবেন ?
কখন ভেবেছেন যিশুখ্রিস্ট যাকে আমরা ঈশ্বর মানি
তিনিও নিজের মৃত্যুকে নিজেই বয়েছিলেন নিজের কাঁধে
তবুও অনেকটা যন্ত্রনা নিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করেছিলেন
ওদের ভালো হোক,
কিন্তু কেন?কখনো কি তিনি জানতে চেয়েছিলেন
কেন ভালো হবে ?
কেন ?
এই প্রশ্নটার মধ্যে হাজার উত্তর সাজানো।
ভাগাড়ের নেড়ি কুকুরটাও ভালোবাসা পাওয়ার জন্য ছুটে যায় অদৃষ্টের দিকে
আর আমরা তো মানুষ।
আর আমাদের তো এটা অজানা নয় যে
আমরা বেঁচে আছি এমন একটা যান্ত্রিক মিথ্যে পৃথিবীতে
যেখানে স্পর্শগুলো খুব কম দামে বিক্রি হয়।
দূর মশাই এত গভীরে ভেবে কি লাভ
বরং চলুন হাসি, হাসতে হাসতে
বরং বাঁচবার চেষ্টা করি দিন প্রতিদিন মুহূর্তদের সাথে ,
এখন এমনিতেই একটা বড় সংকট কালীন সময়
চলুন তুলে ফেলুন সেলফি
ফিরে আসি জীবনের স্রোতে ।