সে এক শরৎ এক শরৎ
সে এক শরৎ এক শরৎ
সে এক শরৎ এ এক শরৎ
24 / 09 /2023
কলমে - কৃষ্ণ ব্যানার্জি
"এসেছে শরবত হিমেরে পরশ লেগেছে হাওয়ার পরে "
আজ থেকে ৩০ বছর আগে এমন কিছু শরৎ আমরা পেয়েছিলাম , আজও শরৎ আসে কিন্তু তার প্রকৃতি কিছুটা ভিন্ন । সময় মানুষের হাতে অর্থ ছিল কম কিন্তু মানুষের মনে আনন্দ ছিল অনেক বেশি । আমরা পারা শুদ্ধ একজোট হয়ে পূজা করতাম, যাক কেমন সামর্থ্য সে ততটুকুই চাঁদা দিতেন মায়ের পূজায় ।
হয়তোবা পাঁচদিনের পোশাক হত একটি , থাকে শব্দেই পূজার মন্ত্রে সকলে মিলে এই পাঁচটা দিন ওই এক পোশাকেই কেটে যেত । আজও শরৎ আসে , মায়ের পুজার আয়োজন হয় । আজ হয়তো এই পাঁচ দিন এক একজনের দশটা পোশাক হয় , আজ চাঁদা নিয়ে চলে জুলুম । কিছু কিছু পরিবারের অবশ্য কিছুই হয় না । তাদের কাছে সেদিনও শরৎ যা ছিল আজকের শরৎ তো একই রকম । ওদের কথা কোনদিনই কেউ হিসাব করেনি —-------- সেই শুরুতে কিন্তু ওরা আনন্দ করতে আমাদের সাথেই । পূজা মন্ডপের সামনের ছোট মাঠটাতে নাচ - গানে ভরে যেতে পাঁচটা দিন । এত আড়ম্বর ছিল না বটে , চেন লাইটে আলোকিত হতো সারা পাড়া , তিন ধার খোলা বক্স প্যান্ডেল , সবদিক দিয়েই দর্শন করা যেতো মাকে , আর আজকের শরতে ফিট ঠেলে চিরে চ্যাপ্টা হয়ে কখনো বা পদদলিত হয়ে তবেই মায়ের দর্শন । অর্থ আছে কিন্তু আনন্দ নেই , সেই শরতের মত মাঠের মাঝখানের ফুচকা স্টলে চারদিকে চেয়ার পেতে সকলে মিলে আনন্দ করে ফুচকা খাওয়ার মজার দেখতে পায় না চোখে । এখন খাওয়া মানেই তো বড় রেস্টুরেন্ট , কাঁচ দিয়ে ঘেরা চারদিক । একটা টেবিলে বরাদ্দ মাত্র চারজন । শরতের আনন্দ হয়তো চারজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে । তবুও শরৎ আসে , তবুও শরৎ আসবে —----।
জানিনা আরো কত পরিবর্তন নিয়ে ।
সমাপ্ত
