একটিবার বাড়াও হাত
একটিবার বাড়াও হাত
আজ মহা পঞ্চমী ,
মহানগরী সেজেছে আলোক মালায়।
মহানগরের এক প্রান্তে একটি বস্তি ,
সেই বাস্তির ছোট্ট একটি ভাড়ার ঘরে থাকে …….
ছোট্ট রানিত , তারবাবা আর মা ।
একটি প্রাইভেট অফিসের কেরানি তার বাবা ।
মাস শেষে হাতে পান হাজার দশেক ।
তারথেকে হাজার দেড়েক ঘরের ভাড়া বাবদ ,
ইলেক্ট্রিক বাবদ আরো শতিনেক , ছেলের পড়াশুনা , রোগবালাই —---এতে চলেযায় আরো তিন হাজার , এরপর সংসার খরচ , মাসের শেষে শুন্য ভাড়ার ।
ছোট্ট রানিত পথ চেয়ে বসেছিলো ,
বাবা আজ বোনাজ পাবে , পূজায় নুতন পোশাক হবে।
একটা জামা একটা প্যান্ট এতেই তার খুশি ।
ওদিকে কোটি টাকা খরচ করে পাঁচ দিনের মণ্ডপ ।
গম গম করে বাজবে বক্স , মিউজিক সিস্টেম।
প্রতিটা রাতেই চলবে ফোয়ারা , এটা নতুন সংযজন
কমেটির টাকাতে চুটিয়ে ফুর্তি , নিজের পকেট সুরক্ষিত থাকবে , কমিটি মেম্বারদের ছেলেরা পাঁচ দিনে দশটা পোশাক পড়বে , স্ত্রীর পরণে পাঁচ হাজারী বেনারসী ।
ওদিকে রনিতের মতো হাজার হাজার শিশু একটা পোশাকের জন্য পথ চেয়ে বসেথাকে ঐ বুঝি বাবা এলো । ওদিকে যুধু চলে পুরস্কারের , কোন মন্ডপ প্রথমের মুকুটে সাজবে , একটা পিটলের তকমা পেতে সেকি রেষারেষী , টাকার বন্যা বইয়েদাও থাকতে হবেই একে । কারা দেয় ? কেনইবা দেয় ? কাদের পুজো ।
যাদের পুজো তাদের মুখে হাঁসি নেই , তাদের দেহে পোশাক নেই , তাদেরিত কোনো আনন্দ নেই ।
তাহলে তোমাদের এতো বিলাসিতা কেনো শুধুকি পুরস্কার ? একটি বছর ওসব ছেড়ে , এসে দাঁড়াও রানীতদের মতো অসহায় ,মানুষ গুলোর পাশে ,
তুলেদাও গোটাদুই পোশাক , দুমুঠো অন্ন এই পাঁচ দিন ধরে । এতে যে পুরস্কারটা পাবে , হয়ত বাঁধিয়ে রাখতে পারবেনা কিন্তু তোমরা রয়েযাবে আপনজন হয়ে রণিতদের ঘরেঘরে ।
একটি বার বাড়াও হাত ঐ অভাবি মানুষদের তরে ।
সমাপ্ত