রবিঠাকুর
রবিঠাকুর
সেই শতবর্ষ পরে
পড়ছি তোমার কবিতাখানি
কৌতূহল ভরে।
এই নতুন কবির মনমরা কবিতা
উড়ে গেছে বহু সাহিত্যের ঝড়ে।
আঁখি ভরা জল করে ছলছল
স্তব্ধ শব্দের কাব্য
দেখ ভুলিয়াছে কোলাহল।
নতুন যুগের কবিতা ভিন্ন
বইয়ের পাতাও শুকনো জীর্ণ
আর কেউ লেখেনা
ওই গভীর নদীর গল্প।
আর কেউ শোনেনা
ওই বাতাসের গুঞ্জন,
সূর্যের আলো আজও আসে
তোমার জানালা দিয়ে।
বৃষ্টির ঝিট ভিজিয়ে দেয় টেবিল
পাখিরা আজও খোঁজে তোমায়
ভেজা কবিতার পাতা খোঁজে অন্তরালে মিল।
আর এই নতুন কবি
তোমায় ভাবে
শব্দের সমুদ্রে রোজ ডুবে।
আবার সূর্য অস্ত গেলে
ফেরে পাখিদের সাথে নীড়ে,
মিশে যাই বালির মতো
ধুলোমাখা জঞ্জালে
হারিয়ে যাবে ঠিক তোমার মতো
অজস্র বালিকণার ভিড়ে।
দেখবে আবার ডাকবে জগৎ
করবে অশ্রুপাত
ততক্ষন হয়তো কাব্য শেষ
দিন ফুরিয়ে নেমেছে রাত।
পড়ছি তখন মৃত্যুঞ্জয়
তোমার পাশে বসে।
ভুল হলে তুমি দিচ্ছ শুধরে
প্রীতি ও ভালোবাসাই ও হেঁসে।
ততক্ষনে আবার হয়েছে উদয়
কোনো নতুন রঙের কবি
যার লেখা চাইছে ধরণ
ঠিক যেমন লিখতেন রবি।
আমি আর তুমি সমুদ্রপাড়ে
বসে পড়ছি তাহার মন
এক আসে আর যাই
শুন্য থাকেনা বন।
তাও তুমি চিরঅমর
ওই সাহিত্যের পাতাগুলোই
নতুন কবি মিশে গেলেও
মিশবেনা কভু তুমি ধুলোয়।