ডিজিটাল বোর্ড
ডিজিটাল বোর্ড


অনলাইনে ক্লাস করতে গিয়ে টিচার এর চাই,
একটি ডিজিটাল বোর্ড, যার রঙ হবে সাদা।
টিচার লিখবেন একই ভাবে যেমন ক্লাসে লিখতেন,
স্টুডেন্টদের হাতে একটি ল্যাপটপ দিতে পারবেন?
কালো কালো কিছু মাথা স্ক্রিনে দেখা চাই,
যদি থাকে নেটওয়ার্ক এ স্কাইপ এর ব্যবস্হা।
অডিও ক্লাস হলে তো এসবের কোনো বালাই নেই,
শুয়ে বসে যেভাবেই পড়ে সন্তান, দেখে পিতামাতা।
গুরুকুলে আগে বোর্ড ছিল কি না জানা নেই,
আমরা পড়তে গিয়ে ব্ল্যাক বোর্ড দেখেছি সকলেই।
তালপাতার পুঁথি আজ দেখা যায় শুধু মিউজিয়ামেই,
স্কুল, কলেজে যেতে, বাসে, গাড়িতে অথবা রেলেই,
ট্র্যাফিক জ্যাম পথে, গেট বন্ধ সময়ে না পৌঁছালেই।
করোনা আসাতে লকডাউন হতে সব দরজায় তালা,
হোস্টেল থেকে বাড়ি ফিরে গেছে আদরের লালা।
মেয়ের বাবা মায়েদের তো আর অনিদ্
রা নেই,
মেয়ে যে রয়েছে আজ চোখের সামনেই।
খুব খুশি শুধু একটি স্মার্ট ফোন কিনে দিলেই,
অনলাইন ক্লাসের নামে কে জানে কতক্ষণ কাটায়,
হোয়াটস এ্যাপ অথবা মেসেনজারে গল্প করেই।
গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো কি সব স্টুডেন্টরা শুনেছেই !
কোমর পিঠ ব্যাথা করে টিচার তো পড়িয়ে চলছেই।
মুখে বকবক করে কি লাভ যদি না ঢোকে মাথাতেই,
দায়িত্ব নিয়ে তবু হবে তো তাঁদের পড়াতেই।
ভালো লাগে তবু মাঝেমধ্যে হুঁ হাঁ সাড়া পেলেই,
করোনা কমলে, লকডাউন খুলবে আবার নিশ্চয়ই,
একদিন হয়তো অন্য ব্যাচের সাথে ক্লাসে দেখা হবেই।
তবে নিজেদের আপডেট রাখতে হবে সকলকেই!
জুম বা গুগল মিটে সারা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে,
ছাত্র ছাত্রীদের সাথে শিক্ষক শিক্ষিকাদের একান্তে,
এক বন্ধন স্হাপিত হবে হয়তো অনলাইনে এভাবেই।