মৌণ বুদ্ধ
মৌণ বুদ্ধ
জীবনের ক্যানভাস ভরা ব্যর্থতা
তিক্ত বাস্তবের বিষ পান করে
হেটে চলি একলা কোনো ধোঁয়াশা
সত্যির খোঁজে।
তার ছেঁড়া গিটার আর তুলছেনা সুর
যেন ভেসে যাচ্ছি কোনো গভীর স্রোতে
নির্বাক মৃতদেহের মতো।
মিলেছেনা ছন্দ,
বানানে ভুল,
সে এক জঘন্য কবিতা।
ওই গলা পঁচা মৃতদেহ আটকে পড়েছে
এক কাঠের গুড়িতে
স্রোত মানছে হার।
দুর্গন্ধ ভরা চারিদিকে শুকুন অপেক্ষায়
ওই অবশেষ পচা দেহ থেকে ছিঁড়ে খাবে কাঁচা মাংস,
ওর তো আর রাজভোগ জোটেনা
দোষ তো ললাটের।
তাও সবাই এসেছে শুকুনের শুকুনি হয়ে
হাততালি দিচ্ছে বাহঃ বাহঃ কলরব।
দুরে দাঁড়িয়ে এক ছোট্ট বুদ্ধ
বুদ্ধিজীবী নয় সে বুদ্ধজীবী
ছোট্ট ক্ষীণ গলায় সবাই কে চেঁচিয়ে বলছে,
ওই শুকুন অপেক্ষায় তোমারও মৃত্যুর
তোমারো দেহ গিয়ে আটকাবে ওই
কাঠের গুঁড়ির গায়ে,
ছিঁড়ে খাবে তোমার পচা গলা মাংস।
বিবেক বিক্রি কোরোনা ওই শুকুন কে
ও ঠিক সব ফেরত নেবে।
তবে এই রাক্ষসদের হাততালির আওয়াজে দেবে যাচ্ছে ওই শিশুর আওয়াজ।
আর হাসছে শুকুন শুকুনি হয়ে
ওর তো বিবেকের ব্যবসা।
আজ বিবেক বন্দক না দিলে
সুদ উসুল করবে কিভাবে?
আর আমি দাঁড়িয়ে দেখছি দুরে গাছের আড়াল থেকে।
এই বিবেক বিক্রির ব্যবসা,
দিচ্ছি সিগারেটে সুখটান
হাসছি অট্টহাসি আর বলছি
ওরে বুদ্ধ ওরা শুনবেনা শান্তির প্রবাদ
এই বাজারে তোর সত্যি অতীত।
নোংরা গন্ধে ভরা চারিদিক
কি আর করবি ওদের ডালভাতে রুচি নেই,
দোষ তো ললাটের।