প্রিয়া তুই এলে
প্রিয়া তুই এলে
প্রিয়া তুই এলে সাড়ে তেত্রিশ কোটি দেবতার জন্য মোমবাতি জ্বালাতাম
তুই এলে একশো আটত্রিশ কোটি পরিসংখ্যান খুলে এই দেশে নতুন মানব ধর্ম বানাতাম ,
বানাতাম এক সাধের কেল্লা ,সময়ের স্বর আর বাঁচার স্বয়ংবর।
রঙ্গীন মেঘে স্বপ্ন জুড়ে জলফড়িং ঘাস ,
তুই এলে খালি পায়ে হেঁটে যেতাম মেঘেদের ঘরে
বৃষ্টি হতো ,টুপটাপ
তুই এলে চুপচাপ কিছু কথা বলতাম চোখে চোখে ।
কখনো রাস্তায় ,কখনো বিছানায় ,কখনো দলা পাঁকানো শরীরের কাঁটায়
হয়ত বা সাহস করতেন যীশুর জন্ম দেখার।
অথচ প্রিয়া তুই এলে জোনাকির ঘর বানাতাম,
আকুল কান্নায় তোকে জড়িয়ে আঁকড়ে ধরে বলতাম " ভালো নেই রে "।
দলবেঁধে চিৎকার করে গিটারের সুরে গাইতাম
আমার কলকাতা ,হাতে হাত ,একসাথে হাজারো রাত।
তবু জানি এই কবিতা ফুরাবে না
এই কবিতায় প্রাকজন্মের ইতিহাস লেখা দুটো ছোট হাত ধরে তোকে আঁকড়াতে , চাই
একটু হাসতে, হয়তো তোকে ভালোবাসতে,একটু বাঁচতে।