নারীর স্বাধীনতা
নারীর স্বাধীনতা
স্বাধীন ভারতে মেয়েরাও আজ অফিস থেকে ফেরে,
নারীমুক্তির জেরে।
তবে বিয়ে হওয়ার পরে,
তোমার মতন চাকুরীরতারা থাকে স্বামীরই ঘরে।
আদরের মানবী তুমি,
গর্ব মা-বাবার,
স্বাচ্ছন্দ্যে মেয়েবেলাটা পার,
নুন-পান্তার চিন্তা কখনো ছিল না'কো তোমার।
তোমার দায়িত্ব যার, সংসারটা তারই।
রোজগার যা করো,
তাতে শখ মেটাতে পারো।
মাসকাবারি বাজার বাবদ বর যা দেবে, সেটুকুই ব্যবহার কোরো!
তোমার আপন সম্পত্তি? তা হবে বই কি!
বাড়ি গাড়ি সবই হবে,
বর কিনবে যবে।
তোমার যদি পয়সা থাকে, ব্যাংকে জমা রবে।
শোনো, যেটা ভালো দেখায় সেটাই করো।
একসাথে বেরিয়ে
কেনাকাটা করতে গিয়ে,
বরের কার্ডই এগিয়ে দেবে কার্ড-মেশিনটা নিয়ে।
হয়তো তুমি নিজেকে ভাবো মুক্ত,
স্বাধীন নারী,
কিন্তু স্বামীর পকেট ছাড়ি
তোমার মুক্তি তোমার শক্তি ঈর্ষা জাগায় ভারি।
চাকরি করবে নিশ্চয়।
মা-শাশুড়ির যন্ত্রণা
যেন তোমায় ছুঁতে না পায়!
তাই বলে আজ তোমার টাকা ঘর চালাবে, তাই কি হয়?
জেনে রেখো,
তোমার রোজগার
কেবল হাতখরচেই লাগার,
এর বেশি আর কোনোকিছুতেই প্রয়োজন নেই তার।
আমরা তোমার ভালোটাই ভাবি গো!
গৃহশান্তি চাই,
চুপচাপ থাকো ভাই!
পিতা তোমায় দান করেছেন, মায়ের ঋণ আর নাই!
মেয়েদেরই এমন কপাল!
সমাজবিধির থানে,
যৌথজীবন গানে,
নোয়া বাধানো নিরাপত্তা আবছা বাঁধন আনে।
