মৃতদেহ কাঁদেনা কেন
মৃতদেহ কাঁদেনা কেন
মৃতদেহ কাঁদেনা আর চিৎকার করেনা ঠিক সকলের মতো
বরং তাদের সাহসী বুকে তৈরি হয় একাধিক জনবসতি
এখানে মানুষ নীল। ক্রমাগত উপোষ করে আছে কয়েক শতাব্দী ধরে
এখানে প্রয়োজন নেই আর কোনো ঝাঁটা -বালতি, কুয়ো--
মুছে গেছে বিকার আর ঘরোয়া অসুখ
সকলে বলে এসেছে দুরারোগ্য রোগ নাকি ঢুকেছে চৌকাঠ থেকে
সেখান থেকে গাছ উপড়ে ফেলতে গেলেও ঝেড়ে ফেলতে হয় পুরনো সঙ্কোচ...
প্রতিদিন কাঁদে কারা?
মন্দিরদালান জুড়ে কারা পেতে রাখে সমস্ত দুর্মূল্য মাদুর-
তাও সকলে মৃতদেহ হতে শেখেনি আজ
সকলে নিজেকে বাঁধতে শেখেনি কাঠের আগায়
কিন্তু নিয়ম করে কুড়িয়ে তুলছে উড়ে আসা ছাই-
মৃতদেহ কাঁদেনা আর কাপড় চায়না ঠিক সকলের মত
তারা সময়ে অসময়ে লুকিয়ে পড়তে জানে নিজের ভেতর
উপলব্ধি করতে জানে সমস্ত বুকে ওঠা ব্যথা
তাই প্রতিটি মৃতদেহ ক্রমাগত ছিঁড়ে ফেলে বশ্যতার ঠোঁট
কোনো দেহকেই অপরাধী মানা হচ্ছেনা আর
কোনো বিপদেই তারা পোশাক পরছে না ঠিক সকলের মতো।
বিচার চলছে আদালতে
মানুষের গায়ে মুহূর্মুহু পালটানো হচ্ছে জামা
শুধু মৃতদেহ কখনো পালটে নেয়নি বয়ান
কখনো আড়াল ভেঙে তারা জিজ্ঞাসাও করেনি একজন প্রকৃত হত্যাকারীর নাম...