মেঘ-কিশোরী
মেঘ-কিশোরী
দেখেছিলাম পিকাসো কে
মেঘের ফাঁকে দাঁড়িয়ে আছে।
তুলি হাতে আনমনেতে
আঁকছে ছবি কাজল রঙে ।
কে যেন ঐ দিচ্ছে উঁকি,
তুলির ফাঁকে, এলানো কেশ
ডাগর চোখে...
তুলির আঁচড় সাঙ্গ করে
শিল্পী যখন নিরুদ্দেশে..
দেখি, নীলের চাদর দিয়ে গায়ে
দাঁড়িয়ে আছে মেঘ-কিশোরী।
মেঘ-কিশোরী ঘোরযুবতী
মুখ যেন তার অভিমানী-
ঝরবে বুঝি ধরা-তলে,
টাপুর টুপুর বৃষ্টি হয়ে।
হঠাৎ দেখি আনন্দতে
মেঘ-কন্যা উঠলো নেচে।
শুভ্র মেঘের পানসি এসে
হাতছানি দেয় মেঘ-বালা কে,
এক দৌড়ে ছুট্টে এসে
উঠলো চড়ে পানসি টাতে।
আকাশ টাকে মাতৃ-ঞ্জানে
ঘুরছে সে যে, আপনমনে,
এদিক-ওদিক চারদিকে তে।
এমনি করেই আনন্দতে
দিন কেটে যায় রাত্রি আসে।
তারপর এক সন্ধ্যা কালে
পথ ভুলে যেই ঈশান কোণে
দাঁড়ায় এসে আপন মনে-
দেখে, রক্ত-লোলুপ নেকড়ে দলে
আসছে ধেয়ে তারই পানে--
কাঁদলো মেয়ে কন্ঠ-চিরে
কাতর নয়ন ভাসে অশ্রু জলে ।
"দাও ছেড়ে দাও বাঁচবো আমি
ভাবলে না হয়,
আমি তোমাদেরই ঘরের মেয়ে-"
নেকড়ে তখন,
বন্য-নেশার হন্যে চোখে
হামলে পড়ে, আঁচড়ে ধরে হিংস্র নখে।
নেকড়ে-নখে ভীষণ ধার-
ছিন্ন হল বক্ষ তার ।
লুটিয়ে পড়ে মেঘ-কিশোরী
আঁখ জুড়ে তার অন্ধকার।।
পাশব আঘাত হানলো এবার
জঙ্ঘা-দেশে বারংবার !!
বৃষ্টি নয়কো রক্ত ধারায়.....
মেঘের মেয়ে
পড়লো ঝরে, শুষ্ক ধরায় !!!