কুয়াশা যখন
কুয়াশা যখন
" কুয়াশা যখন " কোনো এক দূর্ভাগ্যজনক অশিক্ষিতা নারীর জীবন খেলাঘরের ঘৃণ্য
যন্ত্রনার রূপ যখন কুয়াশাচ্ছন্ন ।
জীবন খাতার প্রতি পাতায়
অন্তহীন দুঃখ - কষ্ট ,
অনন্ত সুখকে ঘিরে বাঁধে বাসা
জীবনের পথে চলতে চলতে
হঠাৎ পথ হাতড়ায় -
মনে পড়ে কুয়াশা যখন ।
ধোঁয়া ধোঁয়া , আবছা - অস্পষ্ট
কতো ছিন্ন - বিচ্ছিন্ন কাহিনী ,
কতো সহস্র গুল্মলতা
জড়িয়ে ধরে পদযুগল ,
পদযুগল ছাড়িয়ে পথ চলার ক্লান্তি -
মনে পড়ে কুয়াশা যখন ।
দিবস - রজনী মনে হাহাকার
তুমি কে ? তুমি কার ?
আছে মাতা - পিতা ,
আছে পাঁচটি ছোটো ছোটো ভাইবোন -
দায়ভার নিতে হবে তাদের ,
তুলে ধরতে হবে দুমুঠো অন্ন
অভাবে জর্জরিত সংসারে ।
অশিক্ষিতা নারী, তাই নেই বেড়ে ওঠার আশ
চাই প্রচুর অর্থ , মাথায় পরিবারের দায় ,
সামনে পাঁক , অভাবের পরিহাস ।
রাতের অন্ধকারের লেনদেন ,
ব্যর্থ নারী জন্ম , শরীর নোংরা নর্দমা
মনে পড়ে কুয়াশা যখন ।
সংসারের সুখ চেয়ে
সবার মুখে হাসি ফোটাতে ,
নিজেকে বিকিয়ে দিল অর্থ জোটাতে -
পাশবিক - লালসার আঁধারে ।
তুমি কারো কন্যা , কারো ভগিনী
রাতের আঁধারে মন্দমেয়ে নাম্নী ,
শরীর বেচাই তোমার ধান্দা
তুমি শুধুই রাতের রজনীগন্ধা ,
জীবন যুদ্ধের প্রতি ক্ষেত্রে
মনে পড়ে কুয়াশা যখন ।
