বিষাক্ত জীবন—রাসায়নিক আগুন
বিষাক্ত জীবন—রাসায়নিক আগুন
ফুলে ফুলে বিষ, জলে জলে মরণ,
শ্বাসের ভেতর গুনগুন করে দাহন!
হাওয়ায় মিশেছে লাশের গন্ধ,
শহরটা যেন ধোঁয়ার বন্দী কারাগার।
নদী কি কাঁদে? কে শোনে তার কথা?
কালো ফেনায় ঢেকে গেছে বুক,
মাছেরা মরে ভেসে ওঠে,
মানুষ দেখে—তারপর খায়!
শিশুর ঠোঁটে দুধের বদলে
সীসা, পারদ, আর কীটনাশক,
জানালার পাশে কচি কচি ফুসফুস
ঢুকে নিচ্ছে প্লাস্টিকের ধোঁয়া!
চালের ভেতর রাসায়নিক,
সবজির রসে মিশে আছে বিষ,
চামড়া জ্বলে যায় ফলের খোসায়,
তবু বাজার জমজমাট!
ফ্যাক্টরির ধোঁয়া চাঁদ ঢেকে দেয়,
বৃষ্টির ফোঁটায় অ্যাসিডের দাগ,
পাখিরা মরে পড়ে থাকে,
তবু সভ্যতা বলে—আমরা উন্নত!
উন্নতি চাই? না ধ্বংসের ছায়া?
এভাবে বাঁচলে ক’দিন বাঁচবি?
গিলে ফেলিস মৃত্যুর দাওয়াত,
তারপর বলিস, ‘এটা তো নিয়তি!’
নিয়তি নয়, এই মৃত্যুর নেশা,
মানুষই বানালো বিষের রাজ্য!
এখনও সময়, ভেঙে দে শিকল,
নইলে পৃথিবী হবে এক বিষাক্ত কবর!
