মুখোশ
মুখোশ
যুগের লেখা কতটা নগ্ন হলে তা গ্রহণীয়!
তুমি বলতে পারো?
আমি খুলবো; আর পেন থামবে না-
বিবেকের কাছে আর জিজ্ঞাসা করবো না!
নগ্ন লেখা লিখব!
একেবারে নগ্ন।
বিধ্বংসী জীবনের প্রতিচ্ছবি;
খোলো তুমি সহবাসের পূর্বমুহূর্তে-
সেই পার্কস্ট্রিটের মোরে যখন বাবুদের রঙিন কাঁচের গাড়ির ভেতর; তোমার প্রথম উষ্ণ চুম্বন!
তারপর কত প্রেম; পরিণতি নগ্ন!
জীবনের প্রেক্ষাপটে শুধু নগ্নতা।
বস্তির বাচ্চাগুলো রাস্তায়,
ডাস্টবিনে খাবার খোঁজে!
সেই পাগলিটা উন্নত যুগল!
নিতম্বে ছিড়া অন্তর্বাসের মাঝে
উঁকি মারে কলঙ্কিত চাঁদ!
তাদেরও বাসনা তোমাকে ঘিরে
আর তুমি কি দেখনা?
শিক্ষা রুচি বাধা দেয়, তবু তো দেখো।
সদ্য বারো বছরের কিশোরীর বক্ষদেশে;
তসলিমা বলেছিল" তখন বুনি উগে নাই";
সে তো আজ দেশান্তরে!
তুমিও তো ছুঁতে চাও সদ্য প্রস্ফুটিত কুঁড়ি।
তোমার জিভ লকলক করে!
ওই স্বাদ নিতে;
তুমিও পোশাকের ওপর থেকে নগ্নতা দেখো।
বাসে সদ্য বিবাহিত রমণীর আগমন! সদ্য ফোটা ফুল যেন উঁকি মারে বক্ষ যুগল;
একটু ঠেসে নিতম্বের স্পর্শে তোমার সদ্য মাথা ভেজা ছাতার ডাঁব টা! বাসে ঝাকুনি থাক বা না থাক; বাসের ভিড় না থাকলেও- ওই ছাতার খোঁচা!
তোমারও চোখে লকলক করে নগ্নতা।
তুমি সেই লোক যার মা বোন সব থেকেও নেই!
যৌনতায় যার জন্ম;
যোনীমুখে যার তৃষ্ণা মেটে;
সেই কামুক তুমি;
তুমি তুমি!
হ্যাঁ তোমাদের লজ্জা নেই! তাই এত পাপ
জীবনের কদর্যতায় আঠা! চটচটে তোমাদের বাসস্থান।
তোমাদের তৃপ্তি কাঁচা মাংসের স্বাদ এ;
বাসি ,পচা, গলা ,উপেক্ষিত ,অপাংক্তেয়!
তবুও চেটে দেখো!
অন্ধকারে বিবর্ণ তোমাদের লোভের আগুন!
সেই আগুনের ছ্যাঁকা খায়;
পাশের বাড়ির রুনু ,রানী ,নাসু ,বিলু।
কাকু কাকু বলে ছুটে আসত তোমার কাছে।
তুমি ওদের পাখি দেখালেই;
তোমার ঠোঁট কাটা পাখি।
ওদের কান্না সেদিন সম্পর্কের বিশ্বাসকে আঘাত করেছিল;
মিথ্যাবাদী তুমিও
তুমিও তো ছুঁয়েছিলে একবার
সেই অভুক্ত বেলায়!
সম্পর্কের মাঝে; সম্পর্কের নগ্নতায়- আর এটাই বাস্তব।
আমি নির্লজ্জ!
যা দেখি তাই লিখি।
তুমি ভদ্রলোক;
তাই তোমার নীরব প্রতিবাদ।
যদি এদের টেনে নামানো যেত একবার রাস্তায়;
এদের মুখোশগুলো যদি টেনে খুলে নেওয়া যেত!
কিন্তু প্রচলিত প্রথা ভাঙি কি করে!
আমিও তো ভদ্রলোক।