ত্রিশুলাগ্নি
ত্রিশুলাগ্নি


বাঁচার শহরে বেঁচে নেই আমরা
রাতের আঁধারে না বলা কান্না
শুনতে পাও কি তোমরা?
আদালতের অন্ধ বিশ্বকন্যা।
সারাজীবন সংকোচে থাকা
সেই কুসুমিত অরণ্য,
জাগিবে আজি বিশ্বমাঝে
করবে রাবণকে অগ্নিদগ্ধ।
রাবন হেথা ছাহিয়া গেছে
সকল বিশ্বলোকে,
মনের কিনারে বাসা বেঁধেছে
অশুচি গল্প, চিরেছে মনুষ্যমনে।
সেই গল্পের উৎস, যেথা নিরবতা
যেথা নিস্তব্ধতার কালো ছায়া,
অবিশ্বাস, অসৎের প্রতিধ্বনি
এসব পৃথিবীর তৈরি মায়া।
চোখের বানে ছিন্নবস্ত্র
আর দাবার চালে ক্লেশ,
এলোমেলো হয়ে যাবে ধরিত্রী
ভয় আর আতঙ্কেই আমরা শেষ।
কিছুক্ষণের না বলা কথা
আর নিঃশব্দ চাপা কান্না,
ঠেলে দেয় সেই সুদূরের পথে
যেথা যাওয়া যায়, ফেরা যায় না।
যে আঁচলের আলতো ছোঁয়ায়
যে আদরের আনন্দেতে,
এ মাটিতে এলি তোরা
পারলি তাকে কষ্ট দিতে?
কলঙ্কমাখা রাঙা দেহকে
সঙ্গ দেয় না কেহ,
তথা যে আপন করে
সেই ভালোবাসে এটা যেন।
আশা রাখি এক তিথির
বিশ্বাস রাখি যুগের উপর,
পরিবর্তনশীল সমাজের উপর
দাবি আমার এই তিথির।
সেই তিথির আগমন ঘটবে
যথা সরলতার মাঝে,
লুকিয়ে থাকা রনমূর্তির
শুভ পিশাচিনি রূপ মুক্তি পাবে।
সেই অপেক্ষার অবসান ঘটবে
যথা অশুচি গল্পকারের দল,
নারীর মাঝে লুটিয়ে বলবে
ক্ষমা কর মহাজন।
এমনও দিন আসবে
যথা নিশিরাতের নিস্তব্ধতায়
পথ ভোলা নারীকে
দিশা দেখাবে নিঃশর্ততায়।
এমনও পৃথিবী গড়বে
যথা ক্ষমতার বড়াই না করে,
ফুল আর মালা নিয়ে
থাকবে সম্বোধনের স্বরে।
আশার মাঝে নিরাশাকে
নিরাশ করো তুমি,
স্বপ্ন দেখ, ভালোবাসো
সবারে এটাই বলি।