এক অবাধ্য প্রেমের উপকথা
এক অবাধ্য প্রেমের উপকথা
অনেক অভিমান ঘিরে আছে কোঠরে
দুপুর রোদে একা বাড়ি ফেরার কথা চাপা আছে গোপনে
দূরত্ব বাড়িয়াছি বিষাদ-মনের অন্তরাল হতে
তবুও বিবাদ-মাঝে প্রেমের বিস্ময়য়ের স্মৃতি ফিরে ফিরে আসে।
আজ আবারও তার কাজল-কালি চোখে নবীনের ছোঁয়া
ঘাড়ের আদর মেখে নেমে আসা নরম চুলের স্পর্শে ঢাকা কায়া,
যার পথ ধরে আমি দেখতে চেয়েছি আমার অবশেষের ছবিটা
বিবাদের পরও আবার হাঁটতে চেয়েছি ধরে যার হাতটা।
হঠাৎ দেখায় এমনটাতো হওয়ার কথা ছিল না
আমি তো লিখেই ফেলেছিলাম আমাদের চিঠির শেষটা,
সময়ের সাময়িকতাই যে আমাকে দিয়ে করিয়েছে নির্মম প্রতিজ্ঞাটা
তবে কেন হার মেনে আবার তাকে ছুঁয়ে দেখার বাহানা।
শুনেছি, সময় নাকি এই গোটা বিশ্ব চালায়
সাধ্যের বাইরে যা, তার উত্তর নাকি সময় দেয়,
তবে সময়ের সৌখিনতাও কি মাঝে মাঝে ভুল বোঝায়?
হয়তো কিছু দায়িত্ব সময়কে দিলে, সময় তা ফিরিয়ে দেয়।
হয়তো কিছু উত্তর লুকিয়ে থাকে দিনের তারায়
অথবা, বছর পাঁচেক আগের লেখা কোনো চিরকুটের শেষ সীমায়,
তাকে ফিরে পাবার সময়ের তফাত এইটুকুই হয়
কে বাঁচার তাগিদে কতো আগে তারে আবার খুঁজে পায়।
তার মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার সকাল আছে
জ্যোৎস্না রাতে তার কথার আঘাতে চুপ থাকার রাত আছে,
সময়ের সাথে আপোষ করে তারে কাছে ডাকার ইচ্ছে আছে
অভিমানে থাকলেও, ভালোবাসায় সে এখনও বেঁচে আছে।
ভালোবাসা বেঁচে থাকে এক আশ্চর্য অবাধ্যতার আড়ালে,
সময়ের কঠিনটাও এর মায়ায় হেরে যেতে পারে,
রহস্যময়ী নিখুঁত পৃথিবী যদিও থাকতে চায় সর্বদা নির্ভুলে
তবে, অবাধ্য এই ভালোবাসায়, মানুষ বারবার ভুল করতে চাহে।