বসন্তে বলিদান
বসন্তে বলিদান
দুধে আলতা চাঁদ নামলেই
রঙের মেলা হবে,
প্রথমেই রঙে রাঙা হবেন অংশুমালী
হলদে শাড়ি পড়ে।
নর্মসখীরা সবে অপেক্ষায় থাকে
প্রেমিকের হাতের ছোঁয়া পেতে,
সিথে তাে সবাই রাঙাতে চায়
তাই হাস্যমুখে প্রেমিকেরা নেয় লালকে বেছে।
তবে ওই লাল আবিরের গন্ধ
আছে নাকি সকলের ভাগ্যে?
কেউ কেউ তাে অশ্রুচোখে কোলাহল মাঝে দাঁড়িয়ে
মনের চিলেকোঠাতেই দেয় তাকে রাঙিয়ে।
সামনের গলিতে যে লাল আবির
অগােছালােভাবে দিনশেষে পাড়ি দেয় বিবর্ণের দিকে,
শুধুই কি প্রেমিকের রমন মিশে আছে ওই আবিরে?
এক-তরফা ভালােবাসার কাঁটা নেই বিঁধে?
বসন্তের হাওয়ায় কি শুধু আবিরের গন্ধ পাও?
মরচে পড়ে যাওয়া রক্তের শুকনো কাম্পিল্য পাওনা?
অবশ্য, পাবেও না, সয়ে গেছে যে
ক্ষণিকের আনন্দের মতাে ভালােবাসার ক্ষতও ক্ষণিকের, তাই না?
বসন্তোৎসব শুনেছি প্রেমের প্রহর
কালটাও থাকে সুখের মতােই স্বল্পক্ষণ,
প্রেমিকরাও তবে সেই নীতিই বেছেছাে নাকি?
স্বল্পমেয়াদী প্রেমে ডুবে সুখ কোড়াও অল্পক্ষণ?
ওহে, দোলের প্রেমে মেতে উঠতে
জড়িওনা কোনাে সুখপাখিকে,
অন্য যুগলের মতাে সুখি হতে
বসন্তের স্বল্প প্রেমে বলিদান দিওনা নিজেকে।