ধর্ষক
ধর্ষক
জনসমুদ্রে মিশে থাকা যত লোলুপ হায়না,
আজ দেখতে ভুলে গেছে তারা মনের আয়না।
অপরাধের গ্লানি গুলো সাগরের ঢেউয়ের মতো মনের মাঝারে
হিল্লোল তুলে মিলিয়ে যায়,
সভ্যতার মুখোশের আড়ালে ঢাকা মানুষ গুলো
প্রদীপের নীচের নিকষ কালো অন্ধকার।
শুনশান রাস্তা,পেয়েছে একা তরুণী-
অসহায় একটি মেয়ে,
উঠিয়ে নিলো পশুর দল মুখে
তার কাপড় চাপা দিয়ে।
অসহায় মেয়ে,তিনটি দানবের
পাশবিক অত্যাচার,
করলো নারকীয় কামনা চরিতার্থ
মেয়েটির ইজ্জতের বিনিময়।
ভীষণ ক্রোধে গর্জে উঠলো অম্বর বজ্র নিনাদে,
জ্বলাময়ী রূপে জ্বলে উঠলো দামিনী
আলোয় উদ্ভাসিত মেয়েটির মুখ-
আঁতকে উঠল বিবেক, মুচড়ে উঠলো বুক-
এ কি করেছে সে-লালসায়
ইজ্জত যার নিয়েছে ছিনিয়ে,
সে তার একমাত্র আদরের মেয়ে।
যন্ত্রনায় কাতর শরীর,ক্ষত বিক্ষত মন-
নয়ন সমুখে ভূলুন্ঠিতা পরম আদরের ধন।
লালসা-বাসনার সঙ্গীরা সব দিয়েছে পিঠটান,
বোঝে সে করে ফেলেছে নৃশংস অপরাধ।
পরম মমতায় কোলে তুলে নেয় তাকে
স্নেহের পরশ ছোঁয়ায় মাথায়,
আলতো হাতে খুলে দেয় মুখের বাঁধন
অশ্রুজলে ভেসে যায় দু নয়ন।
আর্তকন্ঠে বলে ওঠে মেয়ে-
বাবা আজ তুমি কাঁদছো আমি তোমার নিজের মেয়ে বলে।
এতো খারাপ তুমি কি করে হলে??
আমাকে তুমি নষ্ট করে দিলে,
পিতা থেকে কি করে তুমি ধর্ষক হয়ে গেলে!