সমাজ
সমাজ
আমার জীবন আমার মর্জি-
অবশ্যই মানবো শালীনতার গণ্ডি,
কিন্তু পুরুষ!!
কে দিল অধিকার তোমায়-
আমার পায়ে হাজার নিষেধাজ্ঞার
শৃঙ্খল পরাবার?
কে দিল অধিকার তোমায়
আমায় নিয়মের বেড়াজালে বাঁধবার!
সামান্য মানব তুমি-
তুমি ঠিক করবে আমার নিয়তি!
আসলে তুমি ভীত-সন্ত্রস্ত,
তুমি ভয় পাও আমার অস্তিত্বে,
তুমি ভয় পাও আমার মনের শক্তিকে ।
তুমি জানো আমার পরাক্রম,
যুগে যুগে পেয়েছো আমার
সাহসিকতার পরিচয়।
তুমি রাজ করতে চাও বিশ্বসংসারে-
কিন্তু মনে ভয়-পরাজিত হবে
আমার মনের শক্তির কাছে।
তাই আমার উপর প্রভুত্ব করতে
যুক্তি-তর্কে নয়-
তুমি হাতে তুলে নিয়েছো
আমার জীবনশৈলী রচনার ভার,
চারিদিকে এঁকে দিয়েছো
‘সমাজ’ নামক নিয়মের বেড়াজাল,
তুলে দিয়েছো শৃঙ্খলার উঁচু প্রাচীর।
বারবার চেষ্টা করেছো
আমার কন্ঠরোধ করার,
বারবার চেষ্টা করেছো আমায়
শৃঙ্খলে বাঁধার।
বারবার চেষ্টা করেছো আমার
গতিপথ রোধ করার,
বারবার চেষ্টা করেছো আমার
কৃতিত্ব কে খর্ব করার।
তুমি কামনা করো আমার শরীর,
কিন্তু তুমি ঈর্ষান্বিত আমার যশে,
তুমি হীনমন্যতায় ভোগো
আমার কৃতিত্বে,
নারীর শ্রেষ্ঠত্ব মানতে
তোমার আত্মসম্মানে বাধে।
কোন লিঙ্গবিচার নয়-
সকল মানুষ কে ভাবো সমান
থাকবে সকলের সমানাধিকার।
মানসিকতা-আচরণ হোক
মানুষকে বিচারের সঠিক মাপকাঠি,
কর্ম,সভ্যতা,শালীনতা হোক
আধুনিক সভ্য সমাজের
উন্নত জীবনশৈলীর চাবিকাঠি।