মানব দরদী ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল
মানব দরদী ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল
ক্রিমিয়ার যুদ্ধ চলছে
প্রাণ হারাচ্ছে শতশত যোদ্ধা
তাদের সেবা করবে কে?
কেউ কি আছে?
আছে! তাদের পাশে দাঁড়াবার জন্য?
সদ্য উদ্যমী সেবিকা ফ্লোরেন্স
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল;
অল্প বয়সেই সেবায় মন জয়
জয় করেছিল সে, সেসময়।
কাতর নাইটেঙ্গেল এর
ডুকরে উঠলো মন, সেই খবরে।
ছুটে যেতে চাইলো সে সেইখানে
ওই অসহায় যোদ্ধাদের সেবাতে।
তবুও বাধা এল অহ-রহ।
কিন্তু সেবা!
সেবা তো ঈশ্বরের দান।
তাকে বাধা দেবে কে?
সমস্ত বাধা ছিন্ন করে
ছিন্ন করে পৌঁছে গিয়েছিল সেদিন সে।
বিশ্বমানবতার সেবিকা
মানবদরদি রানী ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল।
দরদী সেবা, দরদী পরশে
ফিরে পেলো বহু প্রাণ;
বহু, বহু ক্রিমিয়ার যুদ্ধ সেনারা।
শেষে সেবারই হল জয়
ক্রিমিয়ার যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে দেশ দেশান্তরে
ছড়িয়ে পড়ল তার সেবার পরিচিতি।
সেবিকা, মানব দেবতার সেবায়িত যারা,
সেবা করেও তেমন ভূষিত হতো না এতদিন ;
আজ তারাও ভূষিত হল
ভূষিত হল নব পরিচয়ে।
সেবিকা, মানব দেবদেবীর সেবায়িত,
নব সেবায়িত পরিচয়ে ভূষিত হয়ে।
কালের চক্রে একদিন, সেই সেবিকাও
চলে গেল মানব হৃদয় শূন্য করে
শূন্য করে, না ফেরার দেশে।
শুধু রেখে গেলো আপামর পৃথিবীর,
পৃথিবীর জনগণের কাছে,
তার জন্ম দিবস কে বিশেষ ভূষণে;
তার কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে
আন্তর্জাতিক নার্স দিবস হিসেবে।
আজব পৃথিবীর মানুষের কাছে-
বেঁচে আছে সে;
মানব সেবিকা মানবদরদী দাতা,
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল হিসেবে।
