মামা বাড়ির গাঁয়ে
মামা বাড়ির গাঁয়ে
মামা বাড়ির গাঁয়ে
মানিক চন্দ্র গোস্বামী
স্কুলে তখন গরমের ছুটি শুরু হয়েছে সবে,
বন্ধুরা সব নিজেদের মতো দেশ বেড়াতে যাবে।
কেউ বা যাবে পাহাড়ের পথে, মেঘের ছোঁয়া পেতে,
কেউ চলেছে সাগরের টানে, খেলবে ঢেউয়ের সাথে।
গাছপালা, পাখি ভালো লাগে কারো, বনের শীতল ছায়ে,
কেউ বা ছোটে জীপ গাড়িতে, বাঘ দেখতে চেয়ে।
ধর্মপ্রাণা অনেক বন্ধু, যাবে মন্দির দর্শনে,
উৎসাহ কারো কম নয় মোটে প্রকৃতির আহ্বানে।
আমার প্রথম ট্রেনে চড়া মায়ের হাতটি ধরে,
মামা বাড়ি বেড়াতে যাবার আনন্দ উছলে পড়ে।
মনের মাঝে ইচ্ছে জাগে দেখবো গ্রামের রূপ,
গাছের ছায়ার শীতলতা অনুভবে অপরূপ।
চড়া রোদেও গ্রামের চাষী প্রস্তুতি নেয় চাষে,
এক পশলা বৃষ্টি হলেই তৃপ্ত মনেতে হাসে।
শুনতে পাবো মাকুর আওয়াজ, তাঁত বোনা হয় ঘরে,
দিবা রাত্রি পরিশ্রমেও খুশি খোঁজে সংসারে।
কুমোর কাকুর সূক্ষ্ম কাজের তুলনা মেলা ভার,
কামার শালায় ঠকা ঠাঁই ঠাঁই, গরম লোহাতে ধার।
নাপিত খুড়ো হাঁক দিয়ে যায় যদি কোনো ডাক আসে,
কাজ না পেলেও গল্প গুজব করা যায় পাশে বসে।
মেঠো পথের হাতছানি আছে, আছে পুকুর ভরা মাছ,
আম কাঁঠালের গন্ধ আছে, আছে কাঠের জ্বালের আঁচ।
আমার গ্রামটি সবার সেরা, সেরা গ্রামের লোক,
বারে বারেই ছুটি কাটানোর ইচ্ছে পূর্ণ হোক।