কথার ঘুড়ি
কথার ঘুড়ি
আমি তোমার বকুল ফুল, হয়তো তোমার মনেই নেই!
লিখছি চিঠি, পাবে কি না জানা নেই।
জানাওনি তোমার ঠিকানাটা,
হয়তো কি হবে, তা ভেবেই !
অবশ্য আমিও জিজ্ঞেস করিনি কখনও
জানি তো তাহলে তুমি, চিঠি পাবার আশা করবেই ।
চিঠিটা পাঠিয়ে দেবো আকাশের ঠিকানাতেই !
তার আগে বরং চিঠি দিয়ে একটা ঘুড়ি বানাই,
এরপর চাইনিজ সুতো আর লাটাই চাই।
ঘুড়ি ওড়ানোর কায়দাটা শিখতে হবে ভালো করে,
জানতে হবে ঘুড়ি কাটাকাটি কি ক'রে করে !
ইচ্ছে ক'রে শক্তিমান এক ঘুড়ির সাথে,
প্রাণপন দারুণ এক লড়াই বাঁধাবো,
ইচ্ছে করেই আমি হেরেও যাবো ।
চিঠির ঘুড়িটাকে এভাবেই ভোঁ কাট্টা করে দেবো,
তুমি চিঠির ঘুড়িটা পেয়ে গেছো এটাই ভেবে নেবো।
এবারে বলি চিঠিতে কি কি লেখা থাকবে,
এমনিই করিনি অভিমান, খুব মন দিয়ে কিন্তু শুনবে।
তুমি তো নিজেকে চেনো, জানতে একদিন চলে যাবে,
তবে কেন কথা দিয়েছিলে সারাজীবন পাশে থাকবে!
চেয়েছিলে দায়িত্ব, সুগন্ধ দিয়ে আতর বানানোর,
তাও আবার যতদিন বাঁচবো ততদিনের !
তুমি তো জানো আমি বকুল ফুল,
খুব বেশি দিন গাছে থাকার ক্ষমতা নেই আমার !
জানতে, ঝরে আমি একদিন পড়বোই !
সেটুকু ধৈর্য ও নেই তোমার! কেন কথা দিয়েছিলে ?
কি ভেবেছিলে ? ভেবেছিলে আমি কাঁদবো!
কখনও, কোনোদিন তুমি, চেনোই নি তবে আমাকে,
তোমাকে একটু খুশি দেখতে, পারি আমি
হাসতে হাসতে টুপ করে পড়তে ঝ'রে গাছ থেকে।