কৃষ্ণকলি তুমি
কৃষ্ণকলি তুমি
সেই ছাতিম তলার বৃষ্টি ভেজা পথ
আজো কলঙ্ক খুঁজে চাঁদের গায়ে,
নীরব অনুভূতিরা একান্ত অবসরে
পলকে মূর্ছা যায় রেণুর ঘায়ে।
একলা নিভৃতে বিস্মৃতির অতল গহ্বরে
দু চোখের অতলস্পর্শী কামনা বাসনারা,
ছেঁড়া মেঘের ফাঁকে মুখ বাড়িয়ে
ডাক দিয়ে যায় যেন এখনও কারা।
কৃষ্ণকলির ডাকে শঙ্খচিলেরা ফিরেছিল
ইছামতীর পাড়ে প্রিয়জনের সাথে দুষ্টুমিতে,
লালিমা মাখা এক শান্ত বিকেলে
এক পশলা বৃষ্টির মন খারাপিতে।
তার প্রতীক্ষিত আগমনে চাঁদে ভরে
ধুলোয় ধূসর ভরা ময়নামতির খেয়াঘাট,
নিস্তব্ধ রাতে ভেসে আসা পালাগানের সুরে
চেনা মাদকতায় পরিপূর্ণ দড়ির খাট।
উদাসী হাওয়ায় কালো চুলে কৃষ্ণকলি
বেড়া ডিঙিয়ে তাপ উত্তাপে ময়লা চিরকুট,
শেষ বিকেলে হারুন চাচার আজানে
অসহায় কবিতার খোঁজে কোন এক দূত।
নিঝুম রাতে ঝোড়ো বসন্ত বাতাসে
ব্যালকনি ঘেঁষে উড়ে যায় নিশাচর পাখি,
কান্ডের কাঠিন্যে যায়না শিকড়ের সংহতি
নিরঙ্কুশ ভরসারা কাঁদে এখনো পথ অনেক বাকি...।