জাফরানি ঘ্রাণ
জাফরানি ঘ্রাণ
শ্বাসমূলে আটকে আজও প্রতিক্ষার নোঙর,
হলদে হওয়া ইচ্ছেরা জাগে তাই রাতভোর।
তোমার ললাটে এঁকেছিলাম মন্ত্রপূত রোদ,
নিষ্ফলা শরীর ভরিয়ে তুমি করেছ ঋণশোধ।
বৈশাখী বিকেলের দাপাদাপিতে নীরা বা বনলতা,
লক্ষ কবিতার জন্ম দেয় সেদিনের পেলবতা।
সেদ্ধ কেওড়ার জল নাভি ছুঁয়েছিল পরম আদরে,
বটের ঝুরি ঢেকেছিল তোমায় ভালোবাসার চাদরে।
খসে যাওয়া অনুভূতিরা চলে বাতাসের বেগে,
তোমার শরীরে লাগানো বুনোফুল আজও তাই জেগে।
কৃষ্ণচূড়ার শরীরে নখ আঁচড়ায় ভিনদেশী পাখী,
জাফরানি সূর্য তার জন্য রোজ তুলে রাখি।
কেন যে নামগোত্রহীন ঘ্রাণ দেয় রোজ কিছু শোক!
অস্পষ্ট আলোয় তাইতো এঁকে চলেছি তার চোখ।
জানি যে জল সমুদ্র ঢেউয়ে নৃত্য করে,
প্রেমের আতিশয্যে আড়ালে সে কাঁপে গভীর জ্বরে।
আদিম গাঙচিল, মৃত উইপোকার স্মৃতিতে স্বপ্নরা জাগে,
খরচের হিসাব জমে ফিকে হওয়া কিছু ফাগে।
অশ্রু রক্তের সঙ্গী হয়েও নির্মিতি সেই তুমি,
তাই কাফন খুঁজছি গড়বো ভালোবাসার মমি।