সুখের ছাইভস্ম
সুখের ছাইভস্ম
সভ্যতার সারণীতে রোজ এসে দাঁড়াই
নতুন কিছুনা কিছু, গল্প শোনার আশায়;
কিন্তু কি যে শুনি আর কি যে ভাবি
তালা পড়ে যায় অচেনা ভাবের বাসায়।
বুকে জমা কত রাশি রাশি ক্ষোভ
গভীর আদরে ছুঁয়ে যায় চাপা ওম,
আপদকালে জানি শেষের বাঁচার নিশান
অভ্যাসের বসে খাড়া হওয়া রোম।
পরাগরেণু মেখে এটা যে ভুলেই যাই
সুখের পায়রা আসবেনা হয়ত আর;
আমার অন্তিম বাসর সাজানো হয়েছে
ধীরে ধীরে ঘনীভূত ওই চাপা অন্ধকার।
বেঁচে যাওয়া মান, অভিমান, প্রেম ফসিল
অনামি বর্গীরা লুটেছে স্বার্থের থলি ভরে,
পিছনে পড়ে থাকা পুতুলরা হাসে, কাঁদে
আর আবেগের গনগনে আঁচে পুড়ে মরে।
মুঠো মুঠো সুখেরা পয়লা বৃষ্টিতে ভিজে,
বিলিন ওই গচ্ছিত ছাই ভষ্মের শেষ উত্তাপ।
যারা উপচে গেছে ওই যে উঠোনে কাঁদে,
জানান দিয়ে যায় তাদের বাকি অভিশাপ।
কেন পিছুটানে লোকে এখনও তারা গোনে?
হয়ত পূর্ণতা পায় তার ব্যথার বন্দিশ,
সুখের ছাই মাখা নতুন পূরবী ভাঁজে
বাক্স প্যাঁটরায় পুরানো জীর্ণ চিঠির হদিশ।