কৃষ্ণদেহী ভারতবাস
কৃষ্ণদেহী ভারতবাস


তখন সন্ধ্যা নেমেছে সবে,
সাঁওতাল এক মেয়ে, যেন কষ্টিপাথর
ঘষা গায়ে, লোকালের কামরায়
জীবনটাকে দেখে বিস্ময়ের চোখে।
সুবেশ পোশাকে আমি তখন বসা
একটা জানালার সিটে ।
পিঠে করে যেন বস্তাবন্দী সংসার নিয়ে
ছুটছে সে পৃথিবীর কোন দূরহ প্রান্তে।
বক্র কাঁখে নর্তকীর ভঙ্গিতে,
রাখা একটা কালো পাথুরে শিশু;
যেন অজন্তা-ইলোরার গুহা থেকে
জীবন্ত হয়ে ওঠা মূর্তিদয় ওরা।
সারা শরীর জুড়ে, তার ধূলার পৃথিবী,
কেশ জোড়া কোন জংলি ফুলের
গন্ধ আসে ভেসে, সোঁদা মাটিতে
বৃষ্টির ফোঁটার গন্ধ ওর বুকে।
সবাই তাকে এড়িয়ে গেল সরে,
পুরু ঠোঁটে তার শুকিয়ে যাওয়া ভাষা নিয়ে,
আমারই পায়ের কাছে, বসলে সে লুটিয়ে,
যেন মশি কুণ্ডলী মেঘ নেমে এল
আকাশ থেকে ধরণীতে।
আমি অনড় নয়নে দেখেছি,
ভারতবর্ষের কৃষ্ণ অঙ্গ, সুবেশী সভ্যতার মাঝে।