কাশি
কাশি
ছেলেটা রোজ কাশি বাজায় টিং টিং....
বাবা দূর থেকে শোনে
বড় ভালো !
একদিন বলে ফেলাগেলে --
'এ বছর তোকে নিয়ে যাবো সাথে
বাবুদের বাড়ি পুজোর সময়
ওখানে কাশি বাজাবি !'
ছেলে আনন্দে লাফায়
জানতে চায় , কবে যাব বাবা ....
বাবুরা আমার কাশি শুনবে তো ?
বাবুরা অনেক কিছু দিবেক ?
মন্ডা - মিঠাই দিবেক ?
খাজা গজা দিবেক ?
আর কি দিবেক বাবা বলনা .. .. বলনা...
বাবা বলে , আরও অনেক কিছু দিবেক
ছেলে বলে তাইলে আমি যাব ই ।
ছেলে রোজ জানতে চায়
বাবা আর কত দেরী ?
কবে যাব বাবা .....?
দেখতে দেখতে এসে যায় পুজো ।
চতুর্দিকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি
জলে জলময় ...
রাস্তা ,ঘাট , খানা , ডোবা
সব ভর্তি !
ঠান্ডা হাওয়ায় ছেলের জ্বর এসে গেলো
সাথে কাশি ব্যমি ঘোরের মধ্যে পড়ে রইলো ছেলে
ডাক্তার বাবু এসে বললেন , ডেঙ্গু হয়েছে !
ওর এখন বাইরে যাওয়া চলবে না !
বাবার মাথায় হাত !
ছেলে শুয়ে শুয়ে কাঁদতে লাগলো ....
নিরুপায় বাবা কাঁধে ঢাক নিয়ে বেরিয়ে গেলো
পুজোয় বাজাতে পারলে দুটো পয়সা আসবে !
মন্দিরে 'মা ' আনন্দময়ী
ঢাকীর মনে আনন্দ নেই ---!
জ্বর বেড়েই চলেছে
ঘোরের মধ্যে একটাই কথা .. কাশি টা দাও
আমার কাশি টা দাও আমি বাজাই ...!
মা মানত করলে ---- 'মা ' মাগো , জ্বর টা
ছাড়িয়ে দাও ----- 'মা' ..!
পরের বছর তোমার থানে কাশি বজিয়ে আসবে !
পুজো শেষ হয়ে গেলো
'মা' জলসায় হলেন
ঢাকী ফিরে এলো ঘরে
মনে কত আনন্দ
এই দেখ খোকা , এই দেখ
বাবুরা তোকে কত কি দিয়েছে
মুড়ি , মুড়কি , নাড়ু , মন্ডা, মিঠাই
এই দেখ একটা নতুন জামা প্যান্ট !
ছেলেটা দেখে অবাক হয়ে গেলো
মনে মনে ভাবলো
বাবুরা কত ভালো .....!
পরের ব্ছর নিশ্চয় কাশি বাজাবো
'মা ' - য়ের থানে !!
...............................................
