আনন্দ
আনন্দ
বিশ্বকর্মা পুজো থেকেই বাজে শারদীয়ার ঢাক
তারপরই গনেশ বাবার পুজোয় বেশ হাঁক ডাক ।
তারপর থেকেই শুরু হয় কাউন্ট ডাউন পালা
দিন গুনতে থাকে বাঙালি নিচুথেকে উপর তলা।
শুরু হয়ে যায় বেশ একটা 'পুজো আসছে '...রব
ঘরে ঘরে পাড়ায় পাড়ায় শুরু হয় গুঞ্জন কলরব ।
ক্লাব কর্তারা মিটিংয়ে বসেন ঠিক হয়ে যায় থিম অনেক আগেই,
শুরু রূপায়ন -টাকা তোলার দিন।
হাটে বাজারে কেমন একটা তাড়াহুড়ো পড়ে যায় ।
অফিসে , কারখানায় , বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে
নীচুথেকে উঁচু কর্মীরা বোনাস পেমেন্টের দিনগোনে।
যেমনি বোনাস পেমেন্টহয়েছে বাজারে খবর ছড়ায়
সব জিনিসের দামও হু হু করে বেড়ে যায় ।
মা তো বছরে একবার আসেন মর্তে নেমে
তাঁর সামনে আর ছেঁড়া পরে দাঁড়াই কেমনে ।
আপামর সবাই পোশাক কেনা শুরু করে
ঘর দোর রং , নতুন আসবাব কেনাও চলে ঘরেঘরে।
পুরোসমাজ ব্যাবস্থাটাই কেমন একটা গতি পায়
গতিটা চলে যতদিন না চন্ডী পাঠ হয় মহালয়ায় ।
চন্ডী পাঠ যেমনি সারা হলো ওমনি উদ্বোধন স্টার্ট
ঠাকুর দেখা শুরু - সেল্ফি তোলায় ব্যস্ত সব স্মার্ট ।
মানুষ জনকে আর পায় কে - সবাই একটু হাঁপছাড়ে
ততদিনে কাফে, কেবিন ,মোগলাই , রাস্তায় বাড়ে ।
'মা'তো তখন মন্ডপে , গাড়িওয়ালা দেরও মোকা
সকাল থেকে রাত্রি চলে পালা করে ঠাকুর দেখা ।
চারটে দিন নিমেষে পার হয়ে যায় ......
আসছে আসছে শুনতেই বেশ ভালো
আসলে ই মূহুর্তে শেষ হয়ে গেলো ।
আজ একাদ্শী যতগুলো প্রতিমা ছিল বাকি
আজ সব হবে জলসায়
কাল থেকে আবার সেই একই পুরানো খাঁচায় ।
সেই বাজার -হাট -রান্না খাওয়া রোজকারখিটিমিটি
সেই তাড়াহুড়ো ঝোল ভাত খেয়ে অফিসে ছুটি ।
আবার একটা বছরের অপেক্ষা ধৈর্য্য সহকারে
পুজো- জন সমস্টির একটা রোজগারের পথ করে।
পুজো মানেই অর্থনৈতিক একটা উন্নতি সব স্তরে
পুজোতে আপামর আনন্দ উপভোগ করে ।
আনন্দ আনন্দ আনন্দ .....
পুজো মানেই অনাবিল একটা আনন্দ !
বর্তমানে আনন্দ টা করে ফেলেছি মাত্রাছাড়া
কমানো উচিত , হবে কেমনে মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া !
...............................................................
