কাজ মিলেমিশে
কাজ মিলেমিশে
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, সমাজের প্রতি আছে দায়,
সমাজ যাই দিক, সমাজের ভালো করতে হবে,
এখানকার সকলকে ভরে দিতে হবে ভালোবাসায়।
দেখা হলে সামনে মিষ্টি হাসি, পেছনে পি এন পি সি,
এই তো সমাজের নিয়ম, লোকে তাকে বলে ভালো,
উল্টো হলেই মানুষটি শ্রেনীশত্রু, সাক্ষাত যম!
মানবিকতা, শৃঙ্খলা এসবের ধার কেই বা ধারে,
এখানে তো সুযোগ খুঁজে একে অন্যকে ভাতে মারে।
দলবাজি কথাটা পিঁপড়েদের বেলাতেও খাটে,
তবে একই দলের মধ্যে ওরা শত্রুতা করেনা মোটে!
অবশ্য গোষ্ঠিদন্দ্ধে মানুষের চেয়েও রয়েছে এগিয়ে,
যুদ্ধ করে একেবারে মনে প্রাণে, জান দেয় লড়িয়ে।
কিন্তু নিজেদের সমাজের কেউ জলে পড়লে পরে,
উদ্ধারের তরে হাত বাড়ায় বা রাস্তা বানিয়ে দেয়।
রাস্তায় অবশ্য ওদের পাশ কাটানোর উপায় নেই,
দেখা হলে হাই হ্যালোটা তো করা চাই অবশ্যই।
খাবারের তরে কেমন একযোগে পরিশ্রম করে,
ঘুরে ঘুরে সকলে মিলে শীতের খাবার মজুত করে।
মাটির নিচে মিলেমিশে গর্ত খুঁড়ে এমন নগর বানায়!
উত্তরের শীতল বাতাস কি আর ওদের ছুঁতে পায়?
বৃষ্টি আসার আগেই যখন ওরা ওদের বাসা পাল্টায়,
সকল শিশুকে নিজের ভেবে ঠিক বয়ে নিয়ে যায়।
"পথশিশু" কথাটা বোধহয় ওদের সমাজে নেই,
সকল শিশুর জীবনের দাম সমান সকলের কাছেই।
শুধুমাত্র সমাজে মুখ দেখানোর কারণে ডাস্টবিনে,
কোনো শিশুকে ফেলে দেবার কথা ভাবেনা।
অন্যায় ঢাকার জন্যে তো পিঁপড়েরা পাপ করেনা!
মানুষের সমাজ কেন দুঃখ ভাগ করতে চায়না!
পিঁপড়েদের কাছে মানুষ অনেক কিছু শিখতে পারে,
সমাজে থেকেই কেমন ওরা মিলেমিশে কাজ করে !