জীবনের কারিগর
জীবনের কারিগর
হাতটি ধরে যে মানুষটি শিখিয়েছে পথে চলা,
কাঁধে চড়িয়ে ভিড়ের মাঝে ঘোরায় রথের মেলা।
আমার শৈশব ভরিয়ে তোলে খেলাধুলা, হাসি গানে;
সাইকেল চড়া শিখিয়ে আমায় সাহস দিয়েছে মনে।
মুখে মুখে নামতা শেখায়, শেখায় ছন্দে ছড়া;
সময় করে নিয়মমতো শেখায় স্কুলের পড়া।
পরীক্ষা দিই আমি তবু উদ্বেগ তার মুখে,
সাফল্যতে ছড়ায় হাসি চোখের জলের সুখে।
সাহস জোগায় প্রতিযোগিতায় যেমন তরো হোক,
অংশগ্রহণ করতেই হবে এমন তরো রোখ।
আমার অবুঝ আব্দারগুলো সহ্য করেন যিনি,
চলার পথটি মসৃন করার ব্রত নিয়েছেন তিনি।
যত্ন করেই শিখিছিলেন বিনয়ী, নম্র হতে;
চরিত্রবান হয়েই যেন চলতে পারি পথে।
সত্য কথা বলতে শেখায়, প্রভেদ করে মিথ্যার,
মনোবলটা বাড়বে দ্বিগুন, হাতে পাবে ফল শিক্ষার।
ওপর পানে ওঠার তাগিদ হৃদয়েতে গেঁথে নিয়ে,
শিখে গেছি চড়তে হবে জীবনের সিঁড়ি বেয়ে।
পেয়েছি আমি দিব্যদৃষ্টি, ভবিষ্যতের আশা;
ভগ্ন পৃথিবী জোট বাঁধবার করিতেছে প্রত্যাশা।
আমার চোখে নায়ক তিনি,জীবনের কারিগর;
বাবা তিনি, নিজের চেয়েও সন্তান প্রিয় তার।
