হে বড়লোক!
হে বড়লোক!
হে বড়লোক! তুমি তো থাকো সুখে, আছোও সুখে,
তাই বোঝো না কে মরে দুঃখের ডাকে!!
যেই গরমে তোমার তৃপ্তি আনে কৃত্রিম ঠান্ডা বাতাস, কৃত্রিম ঠান্ডা জল
সেই গরমেই হারায় গরীব তার রক্ত, তার বল।
যেই বৃষ্টিতে করো উপভোগ , বড়লোক তুমি বড়লোক জানলার ধারে;
সেই বৃষ্টিতেই এক দিনমজুর কাজের আশায় চেয়ে থাকে অনাহারে।
বৃষ্টি কমলেই যে ছোট্ট কুটিরের ছোট্ট ছেলেমেয়েগুলোর মুখে খাবার দিতে হবে কাজ করে!!
বড়লোক তুমি, যে খাবার নষ্ট করো অনায়াসে, হাসতে হাসতে ;
তার এক অংশও পায় না গরীব , রক্ত, ঘাম এক করে তাই জোটায় কাঁদতে কাঁদতে ।
ভেবে কি কখনো দেখেছ রাজা ভিখারির জীবনধারা?
চেয়ে কি কখনো দেখেছ তাদের বুকের রক্ত ঝরা?
জেনে কি গেছো সুখ দুঃখের সকল হিসেব নিকেশ?
নাকি ভেবেই নিয়েছ সুখটাই তোমার থাকবে সর্বশেষ?
তাও একটা কথা বলি, অপমান কোরো না তাদের, যাদের চোখের জলে বৃষ্টি হয়।
যাদের রক্তে থাকে না খাওয়ার হাহাকার, হারিয়ে ফেলার ভয়।
পেটে থাকে খিদে আর পিঠে থাকে প্রহার!
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে করে সামান্য রোজগার ।
হে বড়লোক, ভালো করতে না পারো, কোরো না খারাপ গরীবদের।
মূল্য দাও, সম্মান দাও, পাশে দাঁড়াও তাদের।
সুখ- দুঃখ ভাগ করে নাও তবেই তো হবে সুসমাজ।
গরীব- বড়লোক এই ভেদাভেদ উঠে যাক তবে আজ!