গন্ধর্ব খুঁজে পাই
গন্ধর্ব খুঁজে পাই
এখন বাজে সকাল ছয়টা ষোলো,
"মধুচন্দ্রিমা" র আমার কথা মনে এলো !
এখন মেঘলা সকাল, সূর্যের দেখা নেই,
চাঁদ তো অনেক দূরের ব্যাপার, মনে মধু কই ?
বেড়াতে ভালোবাসাটাই শেষ কথা নয়,
সময়, টাকা, ইচ্ছে, সুস্থতা ও এনার্জি চাই।
তার ওপর দুজনে আবার সহমত হতে হয় !
কিন্তু আমি যে এক তর্কবাগীশ ওস্তাদ নারী !
প্রথমেই আমার "টিটোটেলার" খেতাব জুটে যায়।
একজন "চুপকথা" মানুষের কি করে সহ্য হয় ?
মাঝে মাঝেই ভাবি আমি বোবা হলে কেমন হতো !
বাড়িতে অথবা বেড়াতে গিয়ে সে কি আনন্দ পেতো !
কখনও বা আমি তাকে রেখেই, কাছেই একটু হারাই,
তাতে করে নাকি আমি ওনাকে টেনশন দিই !
কি করি, হঠাৎ করেই জলে, জঙ্গলে গন্ধর্ব খুঁজে পাই,
ওদের সুর শুনে, রঙ দেখে যে মোহিত হয়ে যাই।
সোনা ব্যাঙের বছরে একদিনের কাঁচা হলুদ রঙ,
দেখে বুঝি, কেন ওদের ঐ নামে ডাকা হয় !
তাতে কিছুটা সময় নাকি নষ্ট হয়, যত সব ঢঙ !
আমি শুধু চেহারাতেই নারী, মনে নাকি কচি খুকি!
উনি সাধারণ মানুষ, সুপারম্যান হতে হবে নাকি !
ব্যাঙের মতো মানুষের গলা ওনার পছন্দ নয়,
জানি তো, তবে শঙ্খচিলের মতো তাই বলে নয়।
কি মুশকিল ! কখনও ফোনে গলা শুনে খুশি,
"গলাটা শুনলাম" বলে বোঝানো, "আমি ভালোবাসি",
ঝগড়া করলেই মহা আপত্তি, আমি মনে মনে হাসি।
আমি তো আরও অনেক ছোটো হতে রাজি,
যদি কোনোমতে ওনার পকেটেই এঁটে যাই !
আমি খুশি, শুধু আমার দুটো চোখ থাকলেই।
ওনার মতো শুধু সারা ভারত মোটেও নয়,
ঘুরে বেড়াবো আমি এভাবে সারা পৃথিবীময়।
থামলেই চোখের জলে ঐ বুক ভিজিয়ে দেবো,
সারাজীবন বেশ এভাবেই মধু চন্দ্রিমায় কাটাবো।