ধর্ষিতার ডায়েরিটা
ধর্ষিতার ডায়েরিটা
বদ্ধ ঘরে গুমড়ে মরে আমার দীর্ঘশ্বাস
আপন আলয়েও–সবার মাঝে আমার একাকি বসবাস।
যে আমিটা ছিলাম সবচেয়ে আদৃত
সেই আমিটা আজ কি ভীষণ ঘৃণিত!
আমার দোষটা জানতে যদি চাই
ধর্ষিতা তকমাটা লাগিয়েছে–এ সমাজ তাই।
আমি নারী, কখনো তোমার মা,বোন কখনো সন্তান,
আমিই দেবী রূপে করি অন্নদান
তবে আজ কেন কেড়ে নিলে আমার সম্মান?
আপন মায়ের হাসিতে হে ধর্ষক,তুমিও হাসো
বোনের সুখে তুমিও খুশিতে ভাসো,
তবে আমিও তো ছিলাম কারো মা,কারও বোন
একবারও কাঁপেনি হাত তোমার ইজ্জত করতে লুন্ঠন?
চিৎকার করে বলেছি –আমায় ছেড়ে দাও
একদলা মাংসপিন্ডে কি এমন স্বাদ তুমি পাও?
আমার সাজ টেবিলটা আজ ধুলো মাখামাখি
প্রিয় সেই আয়নায় নিজেকে আর নাহি দেখি!
একটা বদ্ধ ঘরের চারটা দেয়াল সঙ্গী হয়েছে আজ
মুখখানা দেখেই বলে যে লোকে-নাই কি লাজ?
স্বেচ্ছায় হয়েছি কি আমি ধর্ষিত?
তোমরা সুশীল সমাজ নাকি হয়েছিলে শীহরীত!
তবে নরপশুর দল উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে বেড়ায় কি করে অবিরত?
জীবিত হয়েও যে আমি ভীষণ মৃত?
কারণ আমিই যে অপরাধী, আমিই যে ধর্ষিত।
