সিঁদুর
সিঁদুর
কপালে আঁকা একবিন্দু সিঁদুর
বৃষ্টির মাঝে সে যেন হঠাৎ রোদ্দুর।
কেন বলছি এমন কথা
জানতে কি চাও, কি ছিল ব্যথা?
মেয়ে হয়ে জন্মেছি বলে কুড়িতে হয়েছি বুড়ি,
বিয়ের কথা বলতো কেউ ইশারায়, কেউ সরাসরি।
একে তো হয়েছে মেয়ে, তার উপরে কালো
পাত্র তুমি তবে–পাবে কি ভালো ?
এমনি হাজারো প্রশ্ন ছুড়ত লোকে,
বদ্ধ ঘরে কেটেছে দিন কত দুঃখে শোকে!
হঠাৎ করে প্রজাপতি ডানা ছুলে
বিবাহ বাসর ভরে গেল রঙিন ফুলে।
সকাল হতেই সেই শুরু,
নরম সরম এই আমিটাই রান্না ঘরের গুরু।
সকলের প্রিয় খাবার তৈরি করে,
শেষটায় প্রায়ই কোনো খাবারই জোটে না আমার তরে।
এমনি করে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা ধায়,
তব একটু ভুলে কথা শোনাতে ছাড়া নাহি যায়
খুব পছন্দের শাড়িটাও আর হয়নি পড়া
স্বপ্ন ছিল প্রিয় মানুষের সাথে আমোদ করা।
সকলের স্নানাহারের দায়িত্ব নেয়া হল সারা,
এমনি করে তার সাথে অদৃশ্য দেয়াল হলে দাঁড়া। স্বপ্নগুলো তব রোজ খেলাঘরে স্নান করে যায়
মিথ্যে হাসিতে সকাল-সন্ধ্যা কে জানাই বিদায়।
গভীর রাতে বেদনার আর্তচিৎকার এই বুকে,
তবে লোকে বলে – আমি থাকি মহাসুখে।
বিভেদটা কেবল–এখন আমার এক সিঁথি সিঁদুর,
তব বর্ষার আকাশ আজও বিষন্ন মেদুর।